সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে গাড়ির সামনের দিক। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুললেন অভিনেতা। অঙ্কুশের কথায়, দুর্ঘটনার কবলে পড়ে থানায় গেলে পুলিশ অভিযোগ দায়ের না করে তাঁর কাছ থেকে দুর্ঘটনার প্রমাণ চেয়েছে। একজন তারকার ক্ষেত্রেই যদি এমন অবস্থা হয় তাহলে কোনও সাধারণ মানুষ এমন দুর্ঘটনার কবলে পড়লে তো তার অবস্থা আরও সঙ্গীন হবে! সেখানেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়লেন অঙ্কুশ হাজরা।
বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই গাড়ির ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেতা। কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? মঙ্গলবার মেদিনীপুরে সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনের জন্য গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথেই রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে সাঁকরাইল থানা এলাকার জাতীয় সড়কে। কোলাঘাট থেকে ধুলাগড় টোলপ্লাজার ঠিক মাঝামাঝি একটি জায়গা দিয়ে যখন জাতীয় সড়ক ধরে তাঁর গাড়ি চলছে, ঠিক তখনই এক মদ্যপ ট্রাক চালক এসে তাঁর এসইউভিতে ধাক্কা মারে। ঘটনার পরই থানায় যান অঙ্কুশ এবং তাঁর টিম। তবে গিয়ে কোনওরকম লাভই হয়নি। কারণ, পুলিশ তখন অভিযোগ দায়ের না করে অভিনেতার কাছ থেকে প্রমাণ চাইতে ব্যস্ত! এমনটাই দাবি করেছেন অঙ্কুশ হাজরা।
আর ঠিক সেই বিষয়েই উঠছে প্রশ্ন! একজন অভিনেতাকেও যদি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পুলিশের ‘দায় এড়ানো’র শিকার হতে হয়, তাহলে একজন সাধারণ মানুষ জাতীয় সড়কে বিপদে পড়লে কী হবে? কিংবা কেউ বিপদে পড়লে তাঁকেই কি প্রমাণ জোগাড় করতে হবে? এখানেই শেষ নয়! এমনকী, দু্র্ঘটনার পর পুলিশকে জানাতে গেলে ঘটনাস্থলে পুলিশের কথোপকথনে আরও অবাক হয়েছেন অভিনেতা। “এ বাবা, সেলিব্রিটির গাড়িতে মেরে দিলি! এত সাহস কী করে হয় তোর?” এমনই মন্তব্য ছিল পুলিশের। অঙ্কুশের কথায়, “এই পরিস্থিতিতে একজন সাধারণ মানুষের অসহায়ভাবে ফিরে আসা ছাড়া আর কিছুই করার নেই!”
সূত্রের খবর, জাতীয় সড়কের ওই দুর্ঘটনাস্থল বাগনান, বাউরিয়া, পাঁচলা, সাঁকরাইল এবং উলুবেড়িয়া- এই ৫টি থানার মাঝামাঝি পড়ে। যদিও বুধবার এই প্রতিটি থানাই দায় এড়িয়ে গিয়েছে। কিন্তু উলুবেড়িয়া থানার তরফেও জানানো হয় যে, মঙ্গলবার রাতে ওই এলাকায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি এবং বুধবার দুর্ঘটনার কোনও অভিযোগও জমা পড়েনি। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন!
ইনস্টাগ্রামে বুধবার করা একটি পোস্টে অঙ্কুশ লেখেন, কোনও এক মদ্যপ লরি চালকের জন্যই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি এও উল্লেখ করেন যে, বিভিন্ন রাজ্যে এই মদ খেয়ে লরি চালানো একটা বিপজ্জনক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৯০ শতাংশ লরিচালক মদ্যপ অবস্থায় দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে গাড়ি চালান। এই সমস্ত চালকদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন অঙ্কুশ। একই সঙ্গে সকলকে সতর্ক করেছেন জাতীয় সড়কে দিয়ে সাবধানে চলাফেরা করতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.