সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ বিচার চাই’, সোশাল মিডিয়ায় প্রোফাইল ঘুরে এই একটাই পোস্টার এখন প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছে। শুক্রবার সকালে আর জি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) সেমিনার হল থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার তরুণী জুনিয়র চিকিৎসকের দেহ। যে ইস্যুতে দিনভর উত্তপ্ত থেকেছে হাসপাতাল চত্ত্বর। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ইঙ্গিত, ধর্ষণ করেই খুন হয়েছেন ওই তরুণী। এমতাবস্থায় মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়েও আবারও কপালে ভাঁজ শহরের। আমজনতা থেকে সেলেব, সকলের একটাই দাবি, ‘কড়া শাস্তি চাই।’ কেউ বা প্রশ্ন তুলেছেন, সরকারি হাসপাতালে যদি একটা মহিলা চিকিৎসকের নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে পথেঘাটে নিত্যদিন চলা মেয়েরা কতটা নিরাপদ?
আর জি কর ইস্যুতে প্রথম থেকেই সরব কিঞ্জন নন্দ। তিনি নিজে পেশায় একজন ডাক্তার। পাশাপাশি অভিনয়ও চালিয়ে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, কিঞ্জল নিজে আর জি করের চিকিৎসক। এদিন রাতেও হাসপাতালে ডিউটিতে ছিলেন। কিন্তু এরকম অস্বাভাবিক ঘটনা যে ঘটবে, সেটা বিন্দুমাত্র টের পাননি তিনি। অভিনেতা তথা ডাক্তার কিঞ্জল নিজে নিহত ওই তরুণী চিকিৎসকের জন্য প্রতিবাদী মোমবাতি মিছিলের ডাক দেন। তিনি ভীত, উদ্বিগ্ন শহরের মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে। তাঁর স্ত্রী নম্রতাও পেশায় ডাক্তার। স্ত্রী-মেয়ের নিরাপত্তার কথা ভেবেও দু চোখের পাতা এক করতে পারেননি কিঞ্জল নন্দ। এই ঘটনার দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
অন্যদিকে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ও আর জি করের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। যিনি নিজে একজন চিকিৎসক। যিনি নিজে দুঃসময়ে বিনামূল্যে দুস্থদের চিকিৎসা করেছেন। ডাক্তারি পেশায় থাকার সুবাদে বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসকদের উপর হওয়া অত্যাচার দেখেছেন তিনি। আজ আর জি করের ঘটনায় সহ্যের বাঁধ ভেঙে গিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানালেন টলিউড পরিচালক। কমলেশ্বরের কথায়, “আর জি করে ঘটনা নজিরবিহীন। পাশাপাশি মর্মান্তিক এবং ভয়াবহ। শহরের প্রথম শ্রেণীর কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারদের নিরাপত্তা দিতে পারছি না আমরা! এই মৃত্যু, অবমাননা আর অনিরাপত্তা নিয়ে কথা না বলে পারলাম না। এর নিরপেক্ষ বিচার চাই। অপরাধীকে খুঁজে বের করে তাকে কঠিনতম শাস্তি দিতে হবে। এর আগেও সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অনেক অপমান, নিগ্রহ সহ্য করতে হয়েছে। এবার সেটা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। এর আশু প্রতিকার দাবি করছি।”
বিচার চেয়ে সৃজিত মুখোপাধ্যায় সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “আমার শহর কুণ্ঠিত বড়। ক্ষমা করো তুমি মেয়ে, পুরুষ বলেই গাইছি এ গান শুধু মার্জনা চেয়ে।” শ্রীলেখা মিত্রের মন্তব্য, “ধর্ষণ এবং খুন! আর এটাকে আত্মহত্যা বলে মূর্খামি করা হচ্ছে? যে বা যারা এই ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের সকলকে বরখাস্ত করার দাবি জানাই। অত্যন্ত নারকীয় ঘটনা। অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাওয়া উচিত। নিহতের পরিবার যেন বিচার পায়।” গায়ক অনুপম রায়ের প্রশ্ন, “বিচার কি কোনওদিন পাওয়া যাবে?” আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের রহস্যজনক মৃত্যুতে বিচার চাইছেন গায়িকা ইমনও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.