সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই বলিউড থেকে অক্ষয় কুমার আর আমির খান গোটা টিম নিয়ে দেশে বাইরে উড়ে গিয়েছেন শুটিংয়ের জন্য। ব্রিটেনে অক্ষয়ের ‘বেল বটম’ এবং অন্যদিকে তুরস্কে আমিরের ‘লাল সিং চাড্ডা’র শুটিং চলছে পুরোদমে। এমন করোনা আবহের মাঝে গোটা টিম নিয়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে শুটিং করা যে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ, তা বোধহয় আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। লকডাউনে সাড়ে তিন মাস কাজ বন্ধ থাকার পর অবশেষে ফ্লোরে ফিরেছেন তারকা থেকে টেকনিশিয়ানরা। উপায় নেই। কতদিনই বা বাড়িতে বসে থাকবেন! বলিউডের পর এবার শোনা যাচ্ছে টলিউডেরও একাধিক ছবির শুটিং হতে চলেছে লন্ডনে। তার মধ্যে একটি ছবি কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় তৈরি হবে।
সূত্রের খবর, লন্ডনে মোট ৩টি বাংলা ছবির শুটিং হওয়ার কথা চলছে। এই তিনটেই এসকে মুভিজের প্রযোজনায় তৈরি হবে। জানা গিয়েছে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় (Kamaleswar Mukherjee) ছাড়াও সায়ন্তন ঘোষাল এবং পরিচালক জুটি অরিত্র সেন ও রোহন ঘোষের ২টি ছবি রয়েছে এই তালিকায়। একই প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে যখন, তখন দিন কয়েকের শুটিং করতে যে সেভাবে অসুবিধে হবে না, তা আন্দাজ করাই যায়। উপরন্তু , এই ৩টি ছবির কাস্টিংয়েও মোটামুটি একই অভিনেতা-অভিনেত্রীরা থাকছেন। যেমন- ২টি ছবিতে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এবং পায়েল সরকার অভিনয় করবেন। শোনা যাচ্ছে, আগামী মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় সপ্তাহেই লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড়ে যাবে এসকে মুভিজের টিম।
এপ্রসঙ্গে পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়কে সংবাদ প্রতিদিন-এর তরফে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “শুটিং হবে, সেই সিদ্ধান্ত পাকা। কিন্তু যাওয়ার দিনক্ষণের বিষয়টি এখনও সেভাবে চূড়ান্ত হয়নি। সবটাই নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের উপর। কারণ আগামী ৩১ আগস্ট অবধি আন্তর্জাতিক উড়ান বাতিল।” বলিউড চার্টার্ড ফ্লাইট ব্যবহার করছে, কিন্তু তা ভীষণই খরচ সাপেক্ষ। যা টলিউডের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। বন্দে ভারত মিশনের ক্ষেত্রেও শুধুমাত্র গুরুতর কারণ ছাড়া উড়ান সফরের ছাড়পত্র মিলছে না।
কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘অনুসন্ধান’-এর জন্যই লন্ডনে শুটিং হবে। যেখানে অভিনয় করছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, ঋদ্ধি সেন (Riddhi Sen), প্রিয়াঙ্কা সরকার (Priyanka Sarkar), পায়েল সরকারের (Payel Sarkar) মতো অভিনেতারা। বাকি ২ চরিত্রের খোঁজ এখনও চলছে। জানালেন পরিচালক খোদ। “এটা একটা কোর্টরুম ড্রামা। যা একটা বাড়িতে চলে। সেখানে একজন পাবলিক প্রসিকিউটর, একজন ডিফেন্স কাউন্সিল এবং আরেক জন বিচারক, তারা সারা রাত ধরে একজন মানুষের বিচার করে। অনেক সময় অনেক অন্যায় কোর্ট অবধি পৌঁছয় না। আসলে আইন আর ন্যায়ের মধ্যে একটা তফাৎ থেকে যায়। আইনের চোখে হয়তো সে দোষী নয়, কিন্তু নৈতিকতার দিক থেকে সে দোষী। এই দু’য়ের মধ্যে যে তফাৎ, সেটার উপর ভিত্তি করেই এগিয়েছে অনুসন্ধান-এর গল্প,” বললেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.