সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, যাকে গোটা বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি বুম্বাদা নামেই ডাকতে ভালবাসে। তাঁর স্ত্রী অর্পিতাও তাঁকে বুম্বাদা বলেই ডাকেন কারণ তিনি শুধু ব্যক্তিগতভাবে কারওর দাদা নন, তিনি গোটা বাংলা ইন্ডাস্ট্রিরই দাদা। বাংলা সিনেমায় তিনি যখন পা রাখেন, উত্তম পরবর্তী সেই সময়ে বাংলা ছবির অবস্থা সত্যিই শোচনীয় ছিল। হাল ধরেন তিনি। কাঁধে তুলে নেন নায়ক হওয়ার সমস্ত দায় দায়িত্ব। বাবা বিশ্বজিৎ একসময়ের সুপারস্টার হলেও বাবার সাহায্য ছাড়াই যে তাঁর নায়ক হয়ে ওঠা সে কথা আজ সবাই জানে। তাই আর পাঁচটা অভিনেতার মতোই ছিল তাঁর টিকে থাকার লড়াই। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে সেই লড়াই লড়ে গেছেন তিনি। পাশে অনেকেই ছিলেন, কিন্তু একটা ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচিয়ে রাখতে যা যা করার দরকার সেই সব দিক সামলেছেন তিনি। আর ধীরে ধীরে তিনি নিজেই হয়ে উঠেছেন ইন্ডাস্ট্রি।
[নতুন মোড়কে ফিরল নব্বইয়ের ‘কলকাতার রসগোল্লা’]
বহু ছবিতে তাঁকে নানা ধরনের চরিত্রে দেখেছি আমরা। বাণিজ্যিক ছবি থেকে অন্যধারার ছবি, টলিউডের প্রায় অধিকাংশ পরিচালকের সঙ্গেই কাজ করেছেন তিনি। পর্দায় দেখে বোঝা প্রায় অসম্ভব কোন চরিত্রে অভিনয় করা তাঁর কাছে সহজ আর কোন চরিত্রের জন্য তাঁকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কারণ পর্দায় তিনি সব চরিত্রেই সমান সাবলীল। কিন্তু জানেন কি তাঁর জীবনের সবচেয়ে কঠিন চরিত্র কোনটা ছিল। এবার সোশ্যাল সাইটে সে কথাই জানালেন অভিনেতা। কোন চরিত্র করতে গিয়ে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল এই তারকাকে।
[দিওয়ালিতে একসঙ্গে বড়পর্দায় আসছে এই চার জুটি]
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় ছবি ‘বাইশে শ্রাবণ’-এর কথা মনে আছে। সেই ছবিতে পুলিশ অফিসার প্রবীরের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ‘অটোগ্রাফ’এর সাফল্যের পর অনেকেই পরিচালক অভিনেতার এই জুটিকে আবারও পরের বছর পুজোয় দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করাতেই এই ছবির পরিকল্পনা শুরু করেন তাঁরা। তবে সৃজিতের তৈরি এই চরিত্র বেশ কঠিন ছিল বুম্বাদার কাছে। কারণ ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একেবারেই এরকম নন, পাশাপাশি তিনি এইধরনের কোনও চরিত্রকে ব্যক্তিগত জীবনে চিনতেনও না। তাই অনেক গবেষণা করতে হয়েছিল এই চরিত্র নিয়ে, তাঁর কথা বলার স্টাইল, তাঁর পোশাক আষাক নিয়েও। সত্যিই ‘বাইশে শ্রাবণ’এর আগে এরকম চরিত্রে কেউ প্রসেনজিতকে ভেবেছেন বলেও মনে হয় না। পাশাপাশি এই ছবিতে নিবারণের চরিত্রে গৌতম ঘোযকে রাজি করানোও ছিল অন্যতম চ্যালেঞ্জ। তবে এক্ষেত্রে অভিনেতা পুরো ক্রেডিটটাই দিয়েছেন পরিচালক সৃজিতকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.