সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা থেকে সেরে উঠেছেন কণিকা কাপুর। কিন্তু এখনও লখনউ ছাড়ার অনুমতি নেই তাঁর। গায়িকার বিরুদ্ধে চলছে মামলা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে লখনউ পুলিশ। আর এই পরিস্থিতিতেই তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা নিয়ে মুখ খুললেন কণিকা। জানালেন, তাঁর বিদেশভ্রমণ আর করোনা হওয়া নিয়ে অনেক ভুল তথ্য প্রচারিত হয়েছে।
২০ মার্চ কণিকা কাপুরের শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধান মেলে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ব্রিটেন থেকে ফিরে তিনি নিয়ম মেনে কোয়ারেন্টাইনে যাননি। উলটে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। লখনউয়ে তিনটি জনসভায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এরপর একটি বড়সড় পার্টিও দেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রবীণ নেতা ও রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে-সহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। কণিকার এমন গাফিলতি ও কাজের জন্য উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ের করে। তবে কণিকার বক্তব্য, তাঁর বিরুদ্ধে যেসব কথা শোনা যাচ্ছে তার অধিকাংশই নাকি মিথ্যে, ভিত্তিহীন।
একটি বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, তিনি চুপ ছিলেন বলে এতদিন অনেক কিছু কথা রটেছে। তবে গায়িকা এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তিনি ভুল ছিলেন বলে চুপ করে থাকেননি, বরং তিনি কিছুটা সময় দিচ্ছিলেন। মানুষ যাতে নিজে থেকেই সত্যিটা জানতে পারে, তার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন তিনি। লখনউ, মুম্বই বা ব্রিটেনে থাকাকালীন তিনি যাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের সবারই করোনা পরীক্ষায় নেগেটি রিপোর্ট এসেছে। ১০ মার্চ তিনি ব্রিটেন থেকে মুম্বই ফেরেন। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁর স্ক্রিনিং হয়। কিন্তু তখনও কোয়ারেন্টাইনে থাকা নিয়ে কোনও অ্যাডভাইজরি জারি হয়নি (১৮ মার্চ ব্রিটেনে ট্রাভেল অ্যাডভাইজারি জারি হয়)। তিনি নিজের মধ্যে কোনও অসুস্থতার চিহ্ন দেখেননি। তাই নিজেকে আইসোলেট করেও রাখেননি।
এরপর ১১ মার্চ তিনি পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে লখনউ যান। কিন্তু আন্তঃরাজ্য উড়ানের ক্ষেত্রে কোনও স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা ছিল না। এরপর ১৪ ও ১৫ মার্চ তিনি এক বন্ধুর সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ ও নৈশভোজে যান। কণিকা বলেছেন, “আমি কোনও পার্টির আয়োজন করিনি। আমি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ও সুস্থ ছিলাম।” ১৭ ও ১৮ মার্চ থেকে আমার মধ্যে উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। ১৯ মার্চ তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়। ২০ মার্চ তাঁকে জানানো হয় তিনি করোনায় আক্রান্ত। ২০ মার্চ তিনি হাসপাতালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর ২১ দিন পর্যন্ত তিনি বাড়িতেই রয়েছেন। কণিকা জানিয়েছেন, “আমি চিকিৎসক ও নার্সদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাঁরা আমার খুব যত্ন নিয়েছেন। আমি আশাবাদী যে সবাই এই বিষয়টিকে সততা ও সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিবেচনা করবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.