সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রহস্য সন্ধানে আসছে বাঙালি গোয়েন্দা সোনাদা। সঙ্গে থাকছে সোনাদার দুই সঙ্গী ঝিনুক এবং আবির। ছবির নাম ‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন’। শনিবার শহরের এক খ্যাতনামা শপিং মলে মুক্তি পেল ছবির অফিশিয়াল মোশন লোগো। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রী আবির চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী, ইশা সাহা-সহ পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ছবির চিত্রনাট্য লেখক শুভেন্দু দাশমুন্সি।
[আরও পড়ুন: এক মিষ্টি ভালবাসার গল্প নিয়ে জুটি বাঁধছেন সৌরসেনী-অর্জুন]
‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন’-এর হাত ধরে ফের বড়পর্দায় দেখা যাবে গোয়েন্দা সোনাদা ওরফে আবির চট্টোপাধ্যায়, আবির ওরফে অর্জুন চক্রবর্তী এবং ঝিনুক ওরফে ইশা সাহা-এই ত্রয়ীকে। ‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন’-এর সন্ধানে ছবির গল্পের প্রধান চরিত্র যে সোনাদা ওরফে সুবর্ণ সেন , তা আর সিনেপ্রমীদের আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সোনাদা ইতিহাসের অধ্যাপক। সেই সুবাদে প্রাচীন স্থাপত্যকে জানা, নতুন জায়গা ঘুরে দেখা কিংবা কোনও জায়গার সংস্কৃতিকে জানা তাঁর পিপাসু মনের অভ্যেস। সেই সূত্রেই সোনাদা এবারও তাঁর দুই সঙ্গী ঝিনুক এবং আবিরকে নিয়ে তাঁর এক ছাত্রের গ্রামের বাড়ি যান। যেই জায়গার নাম দুর্গেশগড়। প্রাচীন জমিদার বাড়ি, কোণায় কোণায় রহস্য… সেখানেই দিনকয়েকের জন্য ঘুরতে যান সোনাদা। তবে, গিয়েই উপলব্ধি করতে পারেন বেগতিক পরিস্থিতির। ঘোরাফেরা, খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে তার তালিকায় যুক্ত হয় রহস্যোদ্বঘাটনের কাজ। আসলে তাঁর সেই ছাত্রের প্রপিতামহ ছিলেন একজন জমিদার। শুধু তাই নয়, বাংলার এক খ্যাতনামা শিল্পীও ছিলেন তিনি। তাঁদের পরিবারের লোকজনদের কাছেই সোনাদা শুনতে পান একসময়ে নাকি কোনও এক সূত্রে বিশাল ধনসম্পত্তি পেয়েছিলেন তিনি। তবে, পূর্বপুরুষদের কাছে শোনাটাই সার! সেই বিশাল সম্পত্তির টিকিটিও কেউ পাননি আজ অবধি। একেক জনের মুখে একেক রকম কথা শুনতে পাওয়া যায় এই গুপ্তধন সম্পর্কে। কিন্তু কোথায় গেল সেই গুপ্তধন, কোথায়ই বা রাখা? এরই মাঝে দুর্গেশগড়ের সেই জমিদার বাড়িতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। অংশ নেন ঝিনুক ও আবিরকে সঙ্গী করে উপস্থিত হন সোনাদা। সেখানেই পেয়ে যান রহস্যদ্ঘাটনের এক সূত্র। ব্যস, কোমর বেঁধে নেমে পড়েন গোয়েন্দা সুবর্ণ সেন ওরফে সোনাদা।
[আরও পড়ুন: ‘শনিবারের বিকেল’-এর পর ফের ওপার বাংলার ছবিতে পরমব্রত]
ছবির অফিশিয়াল মোশন লোগো প্রকাশ্যে আসার পরই বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে নেটিজেনদের। একটি অ্যানিমেটেড ভিডিওতে প্রকাশ করা হয় এই লোগো। জলের তলায় একটি সোনার শঙ্খ, চারপাশে সাঁতরে বেড়াচ্ছে রং-বেরঙের মাছ… আর সেখান থেকেই বার্তা সহকারে ভেসে উঠল ছবির লোগো। লেখা ‘সোনাদার নতুন সন্ধান দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন‘। এহেন অফিশিয়াল লোগোর সঙ্গে কি তাহলে দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন রহস্যের কোনও মিল রয়েছে, এমনটা ভাবছেন অনেকেই। পরিচালক ধ্রুব জানিয়েছেন, ছবির লোগো বেশ ভালই সাড়া ফেলেছে ইতিমধ্যে। বাকিটা জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে মে মাস অবধি। গ্রীষ্মের ছুটিকে উপলক্ষ্য করেই সেসময়ে মুক্তি পাচ্ছে এ ছবি। ‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন’ যে কচি-কাঁচাদের জন্য নিঃসন্দেহে এক অনন্য উপহার, তা বলাই বাহুল্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.