সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ‘লক্ষ্মী ছেলে’ দেখে মুগ্ধ সিংহভাগ দর্শক। সকলেই প্রায় ধন্য ধন্য করছেন। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন তসলিমা নাসরিনও। ছবি দেখে ‘লক্ষ্মী ছেলে’র পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ঢালাও প্রশংসা করেন তাঁরা। মুসলমান কোনও পরিচালক কবে নিজের ধর্মীয় উন্মাদনা নিয়ে ছবি তৈরি করবেন, প্রশ্ন তুললেন সাহিত্যিক।
তসলিমা সোশ্যাল মিডিয়ায় কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়কে দরাজ সার্টিফিকেট দেন। তিনি লেখেন, “কৌশিকের নতুন ছবি এলেই প্রশ্ন জাগে, এবারের ছবিও কি তাঁর আগের ছবির মতোই ভাল? আমি বুঝি না একজন পরিচালক পরপর এত ভাল ছবি করেন কী করে? জগৎ বিখ্যাত বার্গম্যান, কুব্রিক, কুরোসাওয়া, স্করসেস, ফেলিনি, তারকোভস্কি, হিচককেরও সব ছবি ভাল হয়নি। কৌশিকের মনে হচ্ছে সব ছবিই ভাল।” প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রীরও প্রশংসা করেন তিনি। উল্লেখ্য, ছবির মূল চরিত্র কৌশিকপুত্র উজান। ছবিতে উজানের সঙ্গী আরও দু’জন – পূরব আর ঋত্বিকা। পূরবের চরিত্রের নাম শিবনাথ। আর ঋত্বিকার নাম গায়ত্রী।
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত সিনেমা মানে সবসময়ই অনেক কিছুর মিশেল। ‘লক্ষ্মী ছেলে’ও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে এ ছবি অনেকটাই সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সরাসরি বার্তা দেয়। বরাবরই স্বাধীনচেতা তসলিমাকেও নাড়া দিয়ে ছবির বিষয়বস্তু। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘লক্ষ্মী ছেলে’র সঙ্গে নিজের মিল পেয়েছেন তসলিমা। লেখিকার দাবি, “আমি যেমন সারাজীবন যে কথাটি বলা উচিত সে কথাটি বলেছি, যে কাজটি করা উচিত সে কাজটি করেছি, লক্ষ্মী ছেলেটিও তাই করেছে। যেমন আমি সাত পাঁচ ভাবিনি, কী হবে না হবে ভাবিনি, লক্ষ্মী ছেলেটিও তাই। আমি মিশে যাচ্ছিলাম চরিত্রটির সঙ্গে।”
তবে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের একেবারে শেষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন তসলিমা। তিনি লেখেন, “হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদিরা তাঁদের কুসংস্কার, ধর্মীয় উন্মাদনা আর ধর্ম ব্যবসা নিয়ে অনেক কালজয়ী ছবিই তো করলেন, মুসলমানরা কবে তাঁদের ওসব নিয়ে ছবি করবেন?” এই প্রশ্ন তোলার পরই নেটিজেনদের একাংশের বিরাগভাজনও হয়েছেন তসলিমা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.