সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার ‘রে’ সিরিজে (Ray Series) সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত দু’টি এপিসোড দেখে খুশি হয়েছিলেন তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। বুধবারই মনক্ষুণ্ণ হলেন লেখিকা। পরিচালকের ফেসবুক প্রোফাইলে পুজো করার ছবি নিয়ে আপত্তি রয়েছে তাঁর। ফেসবুক পোস্টেই পুজো নিয়ে সৃজিতের (Srijit Mukherji) সমালোচনা করলেন তসলিমা।
মঙ্গলবার তসলিমা লিখেছিলেন, নেটফ্লিক্সের (Netflix) ‘রে’ সিরিজ দেখার তাঁর কোনও ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু ‘আঁতেল’দের নিন্দে শুনে দেখতে ইচ্ছে হয়েছিল। সিরিজ দেখে তসলিমা মুগ্ধ হয়েছিলেন। অভিষেক চৌবে ও ভাসান বালার কাজ তাঁর যতটা ভাল লেগেছিল, তার চেয়েও বেশি ভাল লেগেছিল সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত এপিসোড দু’টি। “সৃজিত মুখোপাধ্যায় যত ছবি বানিয়েছেন, মনে তো হচ্ছে তাঁর এ দু’টো সবার সেরা”, লিখেছিলেন তসলিমা।
কিন্তু বুধবারের পোস্টেই আবার পুজো করার ছবি নিয়ে পরিচালককে খোঁটা দেন লেখিকা। ফেসবুকে তসলিমা জানান, তিনি বিশ্বাস করতে ভালবাসেন যে যাঁরা স্মার্ট, জ্ঞানী এবং গুণী, তাঁরা আল্লাহ, ভগবান, ঈশ্বরের মতো বস্তুতে বিশ্বাস করেন না। কিন্তু তাঁর এই বিশ্বাস তখন হোঁচট খায় যখন দেখেন রকেটবিজ্ঞানী খেলনা রকেট হাতে নিয়ে মন্দিরে পুজো দিতে যান, যখন জটিল অস্ত্রোপচারের আগে মসজিদে গিয়ে অলৌকিকের সামনে কপাল ঠেকান বড় ডাক্তাররা, যখন বিরাট কোনও শিল্পী তাঁর প্রদর্শনী শুরু হওয়ার আগে গলায় ঝুলিয়ে রাখা ক্রুশবিদ্ধ যিশুতে চুম্বন করেন। তখন তিনি বিস্মিত হন বলেই জানান তসলিমা।
এরপরই বাংলাদেশি লেখিকা লেখেন, “সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ফরগেট মি নট দেখে তাঁকে চূড়ান্ত স্মার্ট বলে রায় দিয়েছি, স্মার্ট মানেই তো আমার চোখে লৌকিকে বিশ্বাসী, অলৌকিকে নয়। কিন্তু বললাম না বার বার আমি হোঁচট খাই! চোখে পড়ল তাঁর একখানা ফেসবুক পোস্ট, তাঁর নতুন ছবির মহরতে ভগবানের মূর্তি, আর তার পাদদেশে কলা, নারকেল, ফুল টুলের পুজো। ঈশ্বরবিশ্বাসীরাও ট্যালেন্টেড হতে পারেন, তা আমি অস্বীকার করছি না। অথবা সৃজিত ঠিকই নিরীশ্বরবাদী, ছবির প্রযোজক করেছেন পুজোর আয়োজন, প্রযোজকদের তো টাকা পয়সা থাকলেই হয়, ট্যালেন্ট না থাকলেও চলে! যেহেতু প্রযোজক নেপথ্যে থাকেন, তাই গোটা সাজসজ্জার কৃতিত্ব পরিচালককে দিয়েই অভ্যেস আমাদের। সঙ্গে থাকে আমার বদ অভ্যেস। ও তো ছাড়তেই পারিনি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.