সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: MeToo বিতর্কে এবার অভিনেত্রী রূপাঞ্জনার পাশে দাঁড়ালেন অরিন্দম শীলের স্ত্রী তনুরুচি শীল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি একটি পোস্টও দিয়েছেন। সেখানে তনুরুচি লিখেছেন, অরিন্দম শীল তাঁর স্ত্রীয়ের সঙ্গে থাকেন না। স্ত্রী বলা হয়েছে, কারণ আলিপুর আদালতে তাঁদের বিচ্ছেদের মামলা এখনও ঝুলছে। এখনও তার নিষ্পত্তি হয়নি। এরপর তনুরুচি অভিযোগ তুলেছেন, স্ত্রীকে প্রতারণা করে অরিন্দম ফ্ল্যাটে শুক্লা দাসের সঙ্গে থাকেন। অথচ সেই ফ্ল্যাটটি অরিন্দম ও তনুরুচির যৌথভাবে কেনা।
একটি সংবাদমাধ্যমে তনুরুচির বক্তব্যও প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যাতে ব্যক্তি অরিন্দম শীলকে সবাই চিনতে পারে, তাই তিনি তাঁদের ব্যক্তিগত কথা সর্বসমক্ষে আনছেন। সেই কারণেই রূপাঞ্জনার পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। যখন অরিন্দম তাঁকে ফ্ল্যাট থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন, তখন বাম সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন পরিচালক। আর এখন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ। সেই কারণে অরিন্দম তখনও সুবিধা পেয়েছিলেন, এখনও সুবিধা পাচ্ছেন। অথচ আদালতের বয়ান অনুযায়ী ফ্ল্যাট তাঁদের দু’জনের নামে। প্রয়োজনে তিনি দলিলও দেখাতে পারেন।
কিছুদিন আগে এক সংবাদমাধ্যমের কাছে রূপাঞ্জনা বলেন, অরিন্দম শীল তাঁর ‘ভূমিকন্যা’ ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য পড়ে শোনানোর জন্য অভিনেত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কথামতো নির্ধারিত সময়ে পরিচালকের ইস্টার্ন বাইপাসের ধারের অফিসে পৌঁছেও যান। সেখানেই অভিনেত্রীকে আলিঙ্গন করেই নাকি কদর্য ইঙ্গিত করেছিলেন অরিন্দম। এদিকে অফিস ফাঁকা দেখে অস্বস্তিতে পড়েছিলেন রূপাঞ্জনা। প্রোডাকশনের ছেলেকে চা দিতে বলেই সেখান থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন পরিচালক। সেখানে কথোপকথনের মাঝেই কাউচে বসতে গিয়ে পিঠে-মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়ার মতো অভিযোগও পরিচালক অরিন্দমের বিরুদ্ধে তুলেছেন রূপাঞ্জনা। পরে অভিনেত্রী সোজা চিত্রনাট্যের কথা বলায় পরিচালক সরে গিয়েছিলেন। রূপাঞ্জনা এও জানান যে, ঘটনার মিনিট পাঁচেকের মধ্যে অরিন্দম শীলের স্ত্রী সেখানে এসে উপস্থিত হন। তিনিও রূপাঞ্জনাকে দেখে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এতদিন পর এসব অভিযোগ কেন তুললেন রূপাঞ্জনা? অভিনেত্রীর কথায়, যে চ্যানেলে ‘ভূমিকন্যা’ সম্প্রচারিত হত, সেই চ্যানেলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকার কারণেই তিনি মুখ বন্ধ করেছিলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.