ট্রোলিং-এর উত্তর দেব কাজ দিয়ে৷ মুম্বই থেকে বিদিশা চট্টোপাধ্যায়ের মোবাইলে ধরা দিলেন তাপসি পান্নু৷
আপনার হিন্দি ফিল্ম কেরিয়ার খুব বেশি পুরনো নয়। কিন্তু আপনার অভিনয় দক্ষতা এবং যে ধরনের ছবি করছেন, তাতে আপনি হেডলাইনে। কেমন লাগছে?
থ্যাংক গড যে এখানে আমার অ্যাক্টিং নিয়ে কথা হচ্ছে, অন্য কিছু নিয়ে নয় এবং আমার অ্যাক্টিং হেডলাইন তৈরি করছে। তার মানে আমার কাজ ভাল হচ্ছে এবং আমি কাজটা পারি সেই বিষয়টা বেশি করে সামনে আসছে। দ্যাট ইজ আ গুড ভ্যালিডেশন।
কিন্তু এর আগে আপনি নিজেই বলেছেন, আগে ছবি থেকে বাদ পড়েছেন দেখতে ভাল নয় বলে এবং টুইটারেও আপনার লুক নিয়ে ট্রোল করা হয়েছে। এদের প্রত্যেককেই আপনি নিজের মতো উত্তর দিয়েছেন। আপনি কখনওই ছেড়ে কথা বলেন না!
আমি প্রতিহিংসাপরায়ণ নই। মাই ওয়ে টেকিং রিভেঞ্জ ইজ ভেরি ডিফারেন্ট। আমি অন্যদের মতো এত নিচে নেমে কিছু করতে চাই না। আমি টুইটারে একটু ক্রিয়েটিভভাবে উত্তর দিই আমার ট্রোলারদের। যারা আমাকে ট্রোল করেন তাদের নিয়ে মজা করি, যাতে আমার রিয়েল ফলোয়াররাও এন্টারটেন হন। আর আমার কাজই এইসব লোকেদের জন্য ঠিক উত্তর।
অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত ‘মনমর্জিয়া’-তে আপনি রুমি। রুমি কেমন?
উমম…দেখতে গেলে রুমির সঙ্গে আমার অনেক মিল আছে আর খুব গভীরভাবে দেখলে নেইও। আমি এইট্টি পার্সেন্ট রুমি। বাকিটা নয় কারণ রুমি খুব কনফিউজড। আমি খুব পরিষ্কার জানি, আমি কোনটা চাই, আর কোনটা চাই না। আর রুমি নিজের কনফিউশন নিয়ে খুব শিওর। এখন এটা চায়, পরক্ষণেই অন্যটা চায়, তারপর হয়তো কোনওটাই চায় না, কিংবা কী চায় জানে না। শি ইজ কনভিন্সিংলি কনফিউজড। এইটা অভিনয়ে ফুটিয়ে তোলা আমার কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল।
আর মিল কোথায় আপনার সঙ্গে?
রুমির মনে যা থাকে, সেটা বলে ফেলে। কে কী ভাববে, কীভাবে ফিল করবে, কষ্ট পাবে কি না এসব ভাবে না। এইখানে আমার সঙ্গে মিল আছে। এবং সমস্যাটা এখানেই। রুমির কনফিউশন কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলাম না তাপসী হিসেবে। তারপর এটাকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিলাম। বিশ্বাস করতে শুরু করলাম যে রুমি এটাই করবে। তারপর অনুরাগ এবং আনন্দ এল রাই ছিলেন।
পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ আপনাকে কীভাবে সাহায্য করেছেন?
অনুরাগের সঙ্গে কাজ করলে ও একটা কনফিডেন্স তৈরি করে দেয়। প্রথম দিন থেকে ও বলে আসছে, ইউ আর রুমি, ইউ আর রুমি। দ্যাট হেল্পড্ এ লট। তারপর বলত তুমি তোমার মতো বিহেভ করো, এমনকী ক্যামেরার সামনেও আমাকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিত। কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল সেইভাবে বলত না। অর্থাৎ অন্য একটা মানুষ হয়ে ওঠার বাড়তি প্রেশার ছিলই না। সেইটা খুব হেল্প করেছে। অনুরাগ কাশ্যপ ইজ ম্যাজিক।
সেই ম্যাজিক সম্পর্কে বিশদে বলবেন?
আই থিংক পরিচালকের থেকেও আই লাইক হিম মোর অ্যাজ এ পার্সন। এবং তার কারণ হল অনুরাগ কাশ্যপের অনেস্টি। হি ইজ ভেরি অনেস্ট হিউম্যান বিইং। এবং এই জায়গায় আমি ওর সঙ্গে কানেক্ট করতে পারি।
প্রেমের ক্ষেত্রে রুমির সঙ্গে বিশেষ মিল আছে বলে মনে হয়?
না, আগেই বলেছি, কেমন মানুষ পছন্দ আমি জানি। আমি নিজে খুব প্র্যাকটিকাল এবং ক্লিয়ার মানুষ জীবন বা প্রেমের ক্ষেত্রে। নিজের পছন্দ নিয়ে খুবই সচেতন, রুমির মতো কনফিউজড নই।
তার মানে তাপসি হিসেবে আপনি কার প্রেমে পড়বেন? ভিকি না রবি?
আমি রবির প্রেমেই পড়তাম।
আপনি ‘পিংক’-এ মিস্টার বচ্চনের সঙ্গে কাজ করেছেন। এই ছবিতে ছেলে অভিষেকের সঙ্গে কাজ করেছেন। দু’জনের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
দু’জনের মধ্যে এনার্জি লেভেল সেম। দু’জনেই খুব এনার্জেটিক। কোনও সিন শুট করার সময় সেম এনার্জি লেভেল থাকে। দু’জনের বডি ল্যাঙ্গোয়েজ এক। তবে অভিনেতা হিসেবে দু’জনে আলাদা। দু’জনের সেন্স অফ হিউমার আলাদা।
আপনার হিন্দি ছবি একটার থেকে অন্যটা আলাদা। অভিনেতা হিসেবে কীভাবে নিজেকে দেখছেন?
আমি নিজেকে ব্যাংকেবল অ্যাক্টর হিসেবে দেখতে চাই। আমার ছবি রিলিজ করলে দর্শক যেন ভাবে তাপসীর ছবি মানে ভাল ছবি হবে। তারা যেন নির্দ্বিধায় আমার ছবি টিকিট কেটে দেখতে যেতে পারে। এবং তিন ঘণ্টা ধরে বসে দেখতে পারবে এই বিশ্বাস রাখবে। প্রোডিউসারও যেন তাদের টাকা ফেরত পায়।
আপনি তো সুজয় ঘোষের ছবি ‘বদলা’-য় রয়েছেন?
হ্যাঁ, শুটিং শেষ। অল্প প্যাচ ওয়ার্ক বাকি রয়েছে।
আবার কাজ করলেন অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে?
আমার তো মনেই হয়নি যে লম্বা ব্রেক হয়েছে। ইট ওয়াজ লাইক কন্টিনিউটি। ছোট্ট ব্রেক নিয়ে আবার শুরু করলাম। কারণ এই ছবিতেও মিস্টার বচ্চন আমার ল-ইয়ার এবং আমি ওঁর ক্লায়েন্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.