ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “আমার বাড়িতে মোমবাতি নেই। আমি নিশ্চিত আমার মতো এরকম অনেকের বাড়িতে মোম মজুত নেই! চলুন সবাই মিলে মোমবাতি কিনতে যাই”, ৫ এপ্রিল মোদির মোমবাতি জ্বালানোর নিদানকে এমন মন্তব্যেই বিঁধলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। কিন্তু সমস্যা তো শুধু মোমবাতি নিয়ে নয়, যেখানে এমন চরম পরিস্থিতিতে দেশের একশ্রেণীর মানুষেরা মাথা গোজার ঠাঁই থেকে খাবার, নিত্যপ্রয়োজনীয় অত্যাবশকীয় জিনিসের অভাবে দুর্বিষহভাবে দিন কাটাচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে মোমবাতি-প্রদীপ জ্বালানো কতটা যুক্তিযুক্ত? প্রশ্ন তুলেছেন টলিউড অভিনেত্রী। সওয়াল করেছেন প্রান্তিক মানুষদের হয়ে।
দিন দুয়েক আগেই ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের নিয়ে সরব হয়েছিলেন স্বস্তিকা। তাঁদের উপর নির্বিচারে রাস্তায় বসিয়ে জীবাণুনাশক স্প্রে ছড়ানোয় যোগী আদিত্যনাথ সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। দেশের দুস্থ মানুষেরা যে আরও কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, সেই উদ্বেগও প্রকাশ করেছিলেন অভিনেত্রী। এবার যৌনকর্মীদের অভাব-অসুবিধে সমস্যা নিয়ে সরব হলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
পতিতালয়ের একটি রূঢ় বাস্তব দৃশ্য তুলে ধরেছেন স্বস্তিকা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, যৌনকর্মীদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। লকডাউনে সন্তান-সন্ততি নিয়ে তাঁদের ভরসা বলতে শুধু ১০০ ফুট একটি জায়গা। যেখানে শুধুমাত্র একটি বেঞ্চ রয়েছে। ওটাতেই দিন-রাত পালা করে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমোচ্ছেন তাঁরা। যদিও ছবিটি ৩১ মার্চের। এই ছবিটিকেই শুক্রবার শেয়ার করে স্বস্তিকা লিখেছেন, “দেশবাসীকে একজোট হয়ে করোনা মোকাবিলার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু যাঁদের বেঁচে থাকাটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে জল, খাবার, রেশন, টাকা না পেয়ে, মোমবাতি জ্বালিয়ে তাঁদের কাছ থেকে আমরা সংঘতি-ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা আশা করব?” পাশাপাশি প্রান্তিক ওই মানুষগুলির পাশে দাঁড়িয়ে মোদির উদ্দেশে খানিক ব্যাঙ্গাত্মক সুরেই বললেন, “ওহ! যৌনকর্মীদের তো বেঁচে থাকার জন্য শুধু যৌনতারই প্রয়োজন তাই না!”
প্রসঙ্গত, লডকডাউনে দেশবাসীর মনোবল বৃদ্ধি করতে শুক্রবার নয়া দাওয়াই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ৫ এপ্রিল গোটা দেশবাসীর কাছ থেকে ৯ মিনিট চেয়েছেন। আগামী রবিবার রাত ৯টায় ঘরের সমস্ত আলো নিভিয়ে নিজের বাড়ির বারান্দায় কিংবা ছাদে এসে প্রদীপ, মোমবাতি অথবা টর্চের আলো জ্বালানোর নিদান দিলেন। বাড়িতে এসব মজুদ না থাকলেও কুছ পরোয়া নেহি! মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বালালেও হবে। প্রধানমন্ত্রী জানান, “রবিবার রাতে এই কাজের মাধ্যেমেই আমাদের প্রমাণ করতে হবে যে আমরা কেউ হেরে যাইনি। আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের বাড়িতে থেকেও কারোর থেকে বিচ্ছিন্ন নই।” আর প্রধানমন্ত্রীর এই মোমবাতি জ্বালানোর নিদানের বিরুদ্ধেই সমালোচনায় সরব হয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
I don’t have candles in the house. And I am sure I’m not the only one who has run out of candles. Let’s all just go out then. What fun💃🏽 Happy shopping 🛍 !!
— Swastika Mukherjee (@swastika24) April 3, 2020
CANDLES/ TORCHES/ PHONES/ DIYAS ?? Anything specific for them ? They too need to show solidarity to caregivers and be a part of the show right? Ohh sorry, my bad. They aren’t included. https://t.co/JhWkIpmR7I
— Swastika Mukherjee (@swastika24) April 3, 2020
PM’s call for the nation to come together, stand united in dark times, thank caregivers. Which category do these humans fall under? Nation ? Citizens? With no food/water/money we expect them to show camaraderie lighting whatever ?! Oh sex workers need only sex to survive. My bad. https://t.co/LAATq77jFi
— Swastika Mukherjee (@swastika24) April 3, 2020
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.