সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছেলের অস্থি বিসর্জন দিলেন বাবা। যেন এক দুঃস্বপ্ন! এই বয়সে তরতাজা একটা প্রাণ, যাঁর সঙ্গে কিনা কয়েক দিন আগেই পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান হল, সে যে এভাবে কাউকে কিছু না বলেই অন্যলোকে পাড়ি যাবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি বাবা কৃষ্ণ কুমার সিং।
অস্থি বিসর্জনের আগে তাই চোখের কোণে জল চিকচিক করে ওঠে। অনেক কষ্ট নিয়ে ছেলের এই শেষ সম্বলটুকু বুকে করে আগলে মুম্বই থেকে পাটনা এসেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার বেলায় আদরের সেই ছেলেরই অস্থি বিসর্জন দিলেন পাটনার গঙ্গায়।
বৃহস্পতিবার দুপুর। গঙ্গার মাঝবক্ষে নৌকো। সাদা পোশাক, মুখে মাস্ক নিয়ে ছেলের অস্থির ঘট বুকে আগলে রাখতে দেখা গেল অভিনেতার বাবাকে। সেখান থেকেই চিরতরের জন্য ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ছেলেকে বিদায় জানালেন কৃষ্ণ কুমার সিং। অস্থি বিসর্জনের সময়ে উপস্থিত ছিলেন সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং কৃতিও। পাশেই সাদা পোশাকে দেখা গেল সুশান্তের পরিজনেদের। একেবারে ঘনিষ্ঠরাই উপস্থিত ছিলেন এদিন। যেহেতু লকডাউন, তাই ছয়-সাত জনের বেশি দেখা গেল না।
মাত্র ৩৪ বছর বয়সে মেধাবী এই ছাত্র তথা দক্ষ অভিনেতার মৃত্যুশোক কিছুতেই ভুলতে পারছেন না কেউ। সুশান্তের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যুতে তাই প্রত্যেকেই প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে। কেন এতটা অবসাদগ্রস্থ হয়ে উঠেছিলেন? কোন পরিস্থিতিতে নিজেকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিলেন? জবাব খুঁজছেন সকলেই। এই মাসে নাকি আগেভাগে বাড়ির পরিচারকদের মাস-মাইনেও মিটিয়ে দিয়েছিলেন। তাহলে কি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত পুরোটাই ঠান্ডা মাথায় নিয়েছিলেন? তদন্তে কিন্তু এমন অনেক প্রশ্ন উঠছে আসছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং কৃতি আদরের ভাইয়ের উদ্দেশে ফেসবুকে এক খোলা চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু সেটাও পড়ে ডিলিট করে দেন তিনি। লিখেছিলেন “আমার আদরের ভাই, শেষ কটা মাস ভীষণ কষ্টে ছিলে বুঝতে পারছি। যদি জানতাম, তোমার সব যন্ত্রণা নিয়ে আমার যত খুশি আছে সবটা তোমায় দিয়ে দিতাম। যেখানেই থাকো, ভাল থেকো। তোমার উজ্জ্বল চোখ দুটো কত মানুষকে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিল। নিষ্পাপ ওই হাসিটা বলে দিত তোমার মনটা কেমন। যারা তোমায় ভালোবাসত, আজীবন বাসবে।” কিন্তু অদ্ভূত ব্যাপার ১৭ ঘণ্টার মধ্যেই সেই পোস্ট ডিলিট করে দিলেন শ্বেতা। কেন? উঠছে প্রশ্ন!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.