সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর দু’মাস পর বিস্তারিত বিবৃতি জারি করলেন রিয়া চক্রবর্তীর (Rhea Chakraborty) আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডে (Satish Maneshinde)। মদ্যপ অবস্থায় রিয়ার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছিলেন সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কা। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
সতীশের প্রকাশ করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সেনা অফিসারের মেয়ে রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্ত মামলায় সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন তিনি। প্রতিবার মুম্বই পুলিশ ও ইডি অফিসারদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। সমস্ত নথিপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে অফিসারদের হাতে। দেওয়া হয়েছে আর্থিক লেনদেনের হিসেব। আগামী দিনেও তদন্তের স্বার্থে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন রিয়া। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন রিয়া। পরে তাঁরা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। সুশান্ত ও রিয়ার সম্পর্কের শুরুর দিকে প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর স্বামী সিদ্ধার্থ সুশান্তের সঙ্গে থাকতেন। ২০১৯-এর এপ্রিল মাসেই রিয়া ও প্রিয়াঙ্কা একটি পার্টিতে গিয়েছিলেন। প্রিয়াঙ্কা প্রচুর মদ্যপান করেছিলেন। আর পার্টিতে সকলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছিলেন। তা দেখে রিয়া তাঁকে সুশান্তের ফ্ল্যাটে ফেরার অনুরোধ করেন। ফ্ল্যাটে ফেরার পর সুশান্তের সঙ্গে আবার প্রিয়াঙ্কা মদ্যপান করেন। পরদিন শুটিং থাকায় রিয়া সুশান্তের ঘরে ঘুমোতে চলে যান। আচমকা প্রিয়াঙ্কার অনভিপ্রেত ছোঁয়ায় তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। রিয়া কড়া ভাষায় প্রিয়ঙ্কাকে সেই মুহূর্তে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন।
বিবৃতিতে জানানো হয়, পরে সুশান্তকে তিনি বিষয়টি জানিয়েছিলেন এবং সুশান্তের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার ঝামেলা হয়েছিল। এই ঘটনার পর থেকেই সুশান্তের পরিবারের সঙ্গে রিয়ার সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। সুশান্ত একাধিকবার নিজের পরিবারকে ফোন করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, তিনি মুম্বইয়ের বাইরে যেতে চান। তাঁর সঙ্গে এসে যেন দেখা করা হয়। অনেক বলার পর ৮ জুন সুশান্তের দিদি মীতু তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তার জেরেই সুশান্ত রিয়াকে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে গিয়ে থাকতে অনুরোধ করেছিলেন। সেই জন্যই তিনি বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতে গিয়েছিলেন।
বিবৃতিতে সুশান্তের তদন্তে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো প্রসঙ্গে বলা হয়, রিয়ার সঙ্গে কোনওদিন আদিত্য ঠাকরের (Aaditya Thackeray) দেখা হয়নি। তাঁর সঙ্গে ফোনে কিংবা অন্য কোনও মাধ্যমে কথাও হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.