সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) নিয়ে দিন কয়েক আগেই মুখ খুলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানওয়াত। CAA-র প্রতিবাদে যখন গোটা দেশ উত্তাল, তখন কঙ্গনা স্রোতে গা না ভাসিয়ে একেবারে অন্য পথে হেঁটেছিলেন। বিক্ষোভকারীদের কটাক্ষ করে প্রশ্ন তোলেন, “বাস-ট্রেন জ্বালানোর অধিকার কে দিয়েছে ওঁদের?” এবার প্রায় একই সুর অক্ষয় কুমারের গলায়। বিক্ষোভ থামানোর অনুরোধ জানিয়ে প্রকারান্তরে মোদি সরকারের পাশেই দাঁড়ালেন বলিউডের খিলাড়ি কুমার।
CAA-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। উত্তরপ্রদেশ থেকে এ রাজ্য- বিক্ষোভের ছবিটা সর্বত্রই একইরকম। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন বলিউডের প্রথম সারির তারকারা। অনুরাগ কাশ্যপ, ফারহান আখতার, স্বরা ভাস্কর, জাভেদ জাফরিরা প্রতিবাদে শামিল হলেও শাখরুখ-সলমন-আমির খানরা এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। নীরব ছিলেন অক্ষয়ও। তবে এবার তিনি মুখ খুললেন। আর কঙ্গনার মতোই বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদ থামানোর আরজি জানালেন। খিলাড়ি কুমার বলেন, “আমার হিংসা ভাল লাগে না। বাম হোক বা ডান, আমি চাই যেন কোনও হিংসা না ছড়ায়। সম্পত্তি নষ্ট করবেন না। হিংসা থেকে দূরে থাকুন। কোনও বক্তব্য থাকলে কথা বলুন। কিন্তু হিংসা বন্ধ করুন। কারও সম্পত্তি তছনছ করা একেবারেই ঠিক নয়।”
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার CAA সংক্রান্ত একটি ভিডিও লাইক করে ফেলেন আক্কি। পরে সেটি আনলাইক করে তিনি সাফাই দেন, ‘ভুল করে’ তিনি ভিডিওটি লাইক করে ফেলেছিলেন। তিনি একেবারেই এই হিংসাত্মক ঘটনার সমর্থন করেন না। অক্ষয়ের এই লাইক-আনলাইকের ঘটনা ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়। না নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। এবার তিনি সরাসরি CAA নিয়ে মন্তব্য করলেন। তবে তাঁর মন্তব্য যে বিক্ষোভকারীদের পক্ষে নয়, তা স্পষ্ট।
দিন কয়েক আগে কঙ্গনাও বলছিলেন, “নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে যে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে, তা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। ভারতবর্ষে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁরা দরিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে রয়েছেন। অপুষ্টিতে ভুগছেন। দেশের যা জনসংখ্যা, তার ৩-৪ শতাংশ ট্যাক্স দেন। বাকিরা ওদের উপর নির্ভরশীল। তো কে অধিকার দিয়েছে ওঁদের, বাস জ্বালাতে, ট্রেন পোড়াতে? এক একটি বাসের দাম প্রায় ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা। তাই বাস ভাঙচুর করে, ট্রেন পুড়িয়ে কোনও লাভ নেই। বরং ক্ষতি হচ্ছে সরকারি সম্পত্তির।” একই পথে হেঁটে সরকারি সম্পত্তি নষ্টের বিরোধিতা করলেন অক্ষয়ও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.