সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন বাংলা কমার্শিয়াল সিনেমার হৃতগৌরব পুনরুদ্ধারের গল্প। নেপথ্যে ‘রাজার রাজা’। ‘খাদান’ উপহার দিয়ে টলিউডের বক্স অফিস চাঙ্গা করেছেন দেব (Dev)। তবে সাফল্যের পথ তো আর সবসময়ে সুগম হয় না। কাঁটা থাকবেই। সেরকমই ‘খাদান’-এর (Khadaan) সাফল্য নিয়েও কাঁটাছেড়ারও অন্ত নেই! সিনেমার মেকিং নিয়েও সমালোচনার শিকার হতে হচ্ছে। আর ঠিক সেই আবহেই দেবের পাশে দাঁড়িয়ে সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srjiit Mukherji) বিশ্লেষণ করে দিলেন টলিউডে বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করতে কেন ‘খাদান’-এর মতো সিনেমা জরুরী।
পরিচালকের কথায়, “প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বপূর্ণ সিনেমার মেকিং সবসময়ে ভালো নাও হতে পারে। আর ঠিক সেরকমই টলিউডে বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করার জন্য ‘খাদান’ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছবি। তবে মেকিংয়ের দিক থেকেও আমার কাছে এই ছবি সফল। এটা সত্যি যে, সিগনেচার সোয়াগ থেকে শুরু করে সবরকম মারপ্যাঁচই ছিল এই ছবিতে। যিশুর বাঙাল উচ্চারণও আরেকটু ভালো হতে পারত। এটাও সত্যি যে কোলিয়ারি অঞ্চলের সিস্টেমটা আরেকটু ভালো করে দেখালে দর্শকদের আক্ষেপ থাকত না। তবে এই ছোট্ট বিষয়গুলো বাদ দিলে ‘জওয়ান’, ‘পাঠান’-এর মতোই আমার ‘খাদান’ও ভালো লেগেছে।” কেন জানেন? সৃজিতের সংযোজন, “আঞ্চলিক ভাষা, রাজনীতি, সাজপোশাক থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়া সবটাই তুলে ধরার সৎ প্রচেষ্টা করা হয়েছে ‘খাদান’-এ।”
দেবের পারফরম্যান্সকে বিরাট কোহলির সঙ্গে তুলনা করে প্রশংসায় পঞ্চমুখ সৃজিত। তাঁর কথায়, দেব আরও একবার প্রমাণ করে দিল এই কমার্শিয়াল সিনেমার ময়দান ওঁর জন্যেই। যেভাবে যিশুর চরিত্রের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে, সেই প্রসঙ্গেও বাহবা দিলেন পরিচালক। আর শেষপাতে নবীনা সিনেমা হলে নিজের সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা শুনিয়ে ‘টেক্কা’ পরিচালকের মন্তব্য, “সিনেমা দেখে বেরনোর সময়ে ব্যালকনির নিচে এত ভিড় দেখে মনে হয়েছিল, সম্ভবত দেব এসেছে। কিন্তু পরক্ষণেই সেই ভুল ভেঙে গেল। দেখলাম, স্ক্রিনের সামনে সকলে ছুটে এসেছে ‘যা যা বলে দে গানে’ নাচ করার জন্য। একজন গর্বিত বাঙালি এবং অন্য ভাষার ছবির গুঁতোয় বিধ্বস্ত বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সদস্য হিসেবে মনে মনে খুশি হয়ে বললাম, পুষ্পা, উই হেট টিয়ারস…।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.