Advertisement
Advertisement

‘নামেই স্বাধীন, চেতনায় পরাধীন, ভুলে গেলে ঋণ?’, বাংলাদেশে তেরঙ্গার অপমানে সরব শ্রীজাত

প্রতিবাদী কলমে কবিতা বাঁধলেন শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়।

Srijato's poem on anti India sentiment in Bangladesh
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:November 30, 2024 5:45 pm
  • Updated:November 30, 2024 5:54 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যাম্পাসের পদতলে ভারতের তেরঙ্গা! বাংলাদেশ (Bangladesh) প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কেমন অবমাননার চিত্র? যে পড়শি দেশ আপদে-বিপদে পাশে থেকেছে, তাকেই এহেন অসম্মান! প্রতিবেশী দেশের মানমর্যাদার প্রতীককে পদতলে রেখে এহেন নির্লজ্জ কর্মকাণ্ডের নিন্দায় সরব এপার বাংলা। ভাষা-সংস্কৃতি এক হলেও রুচিবোধ কোথায়? এ তো সেই চেনা বাংলাদেশ নয়!
ক্ষত-বিক্ষত মন নিয়ে গর্জে উঠেছেন বাংলার শিল্পীদের একাংশ। এবার প্রতিবাদী কলমে কবিতা লিখলেন শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোশাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল হওয়া ওই ছবি আদতে ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি-র (BEUT)। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের প্রবেশপথে মাটিতে রাখা হয়েছে ভারতের পতাকা। যার উপর দিয়ে নির্দ্ধিধায় মাড়িয়ে চলে যাচ্ছে সেখানকার পড়ুয়ারা। সেই ছবি শেয়ার করে শ্রীজাত লিখলেন, “নামেই স্বাধীন তুমি। চেতনায় আজও পরাধীন।
যে-পতাকা পিষে যাচ্ছ, তারই নীচে ছিলে একদিন।”

Advertisement

শ্রীজাতর পতাকা শীর্ষক ওই কবিতায় লেখা-
“শুশ্রূষা ও জল নিয়ে কী সহজে ভুলে গেলে ঋণ!
যে-পতাকা পিষে যাচ্ছ, তারই অংশ ছিলে একদিন।
ভাষা তো নিশ্চয় প্রিয়। তারও চেয়ে প্রিয় জন্মভূমি।
আমাকে ‘বাঙালি’ থেকে ‘ভারতীয়’ করে তুললে তুমি।
ভালবাসা-বিরোধের মাঝখানে সরু একটা সুতো
তাকে যদি তুলে নাও, অন্য ভাবে কথা হবে দ্রুত।
এত যদি দ্বেষ থাকে, যদি এত ঘৃণা হয় জড়ো –
তবে তো সওয়াল ওঠে, ক্ষমা কি দেশের চেয়ে বড়?
নামেই স্বাধীন তুমি। চেতনায় আজও পরাধীন।
যে-পতাকা পিষে যাচ্ছ, তারই নীচে ছিলে একদিন।”

বাংলাদেশ থেকে প্রতিমাসে বহু সংখ্যক মানুষ এদেশে চিকিৎসার জন্য আসেন। এছাড়াও প্রতিবেশী এই দেশের প্রতি বরাবরই ভারতের একটা টান রয়েছে। বিশেষ করে বাঙালিদের। পদ্মাপারের সেই দেশকে কখনও আলাদা করে দেখেনি সমগ্র বাঙালি জাতি। বরাবর পাশে থেকেছে। কিন্তু সেই বাংলাদেশেই যখন নিজের দেশের প্রতীক তেরঙ্গার অপমান, তখন বাঙালি শিল্পীরা বাংলাদেশকে মনে করিয়ে দিলেন ঋণের বোঝার কথা। শ্রীজাতর কলমেও সেই ব্যথা ফুটে উঠেছে।

প্রসঙ্গত, হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনে সংখ্যালঘু নির্যাতন লাগামছাড়া আকার নিয়েছে বাংলাদেশে। এই ঘটনায় রাষ্ট্রসংঘের প্রশ্নের মুখে পড়েছে ইউনুস সরকার। তবে পরিস্থিতি শোধরাতে কোনও উদ্যোগ তো দূর, নয়া আইন এনে এবার বাংলাদেশের সংখ্যালঘু মুখ সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তারির ঘটনার মাঝেই বাংলাদেশের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে রাখা ভারতের জাতীয় পতাকা। তেরঙ্গার উপর দিয়ে হেঁটে চলে যাচ্ছে পড়ুয়ারা। দেশের এহেন অসম্মানে দেখে রাগে ফেটে পড়লেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, জীতু কমলরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement