সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেলেবকন্যা হলেও কোনও দিনই তাঁর হাবেভাবে তা ফুটে ওঠেনি সেভাবে। শিশুসুলভ, সহজ-সরল, হাসিখুশি… এভাবেই জাহ্নবীকে চেনেন ইন্ডাস্ট্রির সবাই। শখের জামাকাপড় নিয়ে এখনও নাকি বোন খুশির সঙ্গে খুনসুটি লেগেই থাকে তাঁর। দাদা অর্জুন কাপুর এবং দিদি সোনম, অনসুলার চোখের মণি তিনি। কিছুদিন আগেই ব্যস্ত রাস্তার মাঝে হন হন করে হেঁটে যাচ্ছিলেন। নেই গাড়ি, নেই সেই সেলেবসুলভ ভাব। যেন তারকার চাকচিক্য তাঁকে ছুঁতেই পারেনি! খবরের শিরোনামে তিনি প্রায়ই থাকেন। তবে বেশিরভাগ সময়ে তা নেটদুনিয়ায় ট্রোলের শিকার হয়েই। তবে এবার খানিক অন্য কারণে। নিজের খাবার বের করে দিলেন এক পথশিশুর জন্য। আর অভিনেত্রীর এই মানবিকতায় মুগ্ধ হয়েছেন নেটিজেনরা।
শনিবার শুটিংয়ের জন্য বেরোচ্ছিলেন জাহ্নবী। সূত্রের খবর, নেহা ধুপিয়ার সঙ্গে তাঁর কোনও একটা শুটে কাজ করার কথা ছিল। দীপাবলি পার্টি ছেড়ে তাই বেরিয়ে যান। ঠিক সে সময়েই এক পথশিশুকে দেখে গাড়ির দরজা খুলে খাবারগুলি দিয়ে দেন তাঁকে। আমরা তো সত্যিই রোজ কত খাবার নষ্ট করি। আর দেশ তথা গোটা বিশ্বজুড়ে নষ্ট করা খাবারের পরিমাণ কিছু কম নয়! বর্তমানে অনেকেই উদ্যোগ নিয়েছেন যে নিজেদের অতিরিক্ত খাবার নষ্ট না করে কিংবা ফেলে না দিয়ে কোনও একজায়গায় দিয়ে দিন যেখান থেকে তাঁদের অন্তত দু’টো অন্ন জোটে যাঁরা হয়ত খাবি পেটেই রাতের ঘুম ঘুমোতে যায়। কিংবা নষ্ট না করে কোনও দুঃস্থ মানুষদের সেই খাবার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এক ছবিতে জাহ্নবীকে দেখা গিয়েছে, গাড়ির দরজা খুলে এক পথশিশুকে নিজের খাবার দেন। যদিও আপাতদৃষ্টিতে এই বিষয়টি তেমন কিছু না-ই লাগতে পারে, তবে তারকা হয়েও যে অভিনেত্রীর মধ্যেকার মানবিকতাটা এখনও বজায় রয়েছে, সে প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা।
সত্যিই তো উৎসব মানেই আপনজন, আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া, বেজায় আনন্দ। আর দীপাবলি হলে তো কোনও কথাই নেই। নতুন জামা-কাপড়, জুতো কেনা! একটু ভাল-মন্দ খাওয়া। কিন্তু ওরা? যারা পথের ধারে খোলা আকাশের নিচে বসে শুধু আকাশ পানে চেয়ে থাকে আতশবাজির ঝলকানি দেখার জন্য। বাজিগুলো উপরে উঠেই কেমন যেন এক লহমায় শত বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে মিলিয়ে যায় ওই আকাশে। কত আলো। চারিদিকে বাজির শব্দ। আমরা কী পারি না, এভাবেই রোজকার জীবনে ওদের দিকে নিজেদের সাহায্যের হাতটা বাড়িয়ে দিতে!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.