সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডির হাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতার গ্রেপ্তারির পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক বোমা ফাটাচ্ছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। কখনও রাজ্যের এই পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। কখনও আবার হতাশা প্রকাশ করেছেন। শ্রীলেখার কথায়, ইডির খোঁচায় শুধুই অর্পিতা ও পার্থ নন, প্রকাশ্যে আসবে রাঘব বোয়ালরাও। এমনকী, অর্পিতার নানা ফ্ল্যাট থেকে টাকা, গয়না পাওয়া নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী। আর এবার অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে সেক্স টয় পাওয়া যেতেই ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে খোঁচা দিলেন শ্রীলেখা মিত্র।
শ্রীলেখা একটি খবরের চ্যানেলের স্ক্রিনশট শেয়ার করে, পোস্টে লিখলেন, ”আহারে তোমরা যেন কী? পার্থবাবুদের একটু ইচ্ছে করতে পারে না! শোনো বয়স কোনও বাধা নয়, জাত কোনও বাধা নয়, যৌনতা বার বার!”
প্রসঙ্গত, সময় যত এগোচ্ছে ততই রহস্য বাড়ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) আর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) ঘিরে। পার্থ ঘনিষ্ঠ মডেল-অভিনেত্রীর ফ্ল্যাট থেকে কোটি-কোটি টাকা, তাল-তাল সোনা শুধু নয় উদ্ধার হয়েছে চমকপ্রদ বস্তুও-দু’টি সেক্সটয়। মহিলার ফ্ল্যাট থেকে এই বস্তু উদ্ধারে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও কোনও একাকী মহিলার ফ্ল্যাট থেকে সেক্সটয় উদ্ধার হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে শুধু ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী নিয়েই নয়, নেটিজেনরা মজেছে অর্পিতা-পার্থর সম্পর্ক নিয়েও।
বিভিন্ন সূত্র থেকে শোনা যাচ্ছে পার্থ-অর্পিতার রঙিন প্রেম-কাহিনিও। মডেল-অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য নাকি ভুয়ো সিমকার্ড ব্যবহার করতেন রাজ্যের মন্ত্রী। রাত গভীর হলেই লং ড্রাইভে বেরিয়ে পড়তেন তাঁরা। এমনকী, ছুটি পেলেই অর্পিতার মামার বাড়ি চলে যেতেন দু’ জনে।
এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে নেমে পার্থ ঘনিষ্ঠ মডেল-অভিনেত্রীর হদিশ পেয়েছে ইডি। তাঁর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাতেই চক্ষু চড়কগাছ। উদ্ধার হচ্ছে প্রচুর সোনাদানা, নগদ টাকা। মিলছে প্রচুর সম্পত্তির দলিলও। এরপরই প্রশ্ন উঠছে পার্থ-অর্পিতার সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে। ইডি সূত্রে খবর, ২০১২ সালে অর্পিতাকে নিয়ে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। এখানেই শেষ নয়। অর্পিতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ভুয়ো নামে সিমকার্ডও নিয়েছিলেন পার্থ।
সূত্রের খবর, তিলজলার ভুয়ো ঠিকানা দিয়ে মহম্মদ সাব্বিরের নামে একটি সিমকার্ড তোলা হয়েছিল। যা ব্যবহার করতেন মন্ত্রী। সেই নম্বর থেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলত অর্পিতার সঙ্গে আলাপচারিতা। এদিন আদালতেও রিপোর্ট জমা করতে চলেছেন তদন্তকারীরা। শুধু ফোনে কথাই নয়, রাত বাড়লেই দু’ জনে বেরিয়ে পড়তেন লং ড্রাইভে। পার্থ-অর্পিতার ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফতই এমন তথ্য সামনে আসছে। তাঁরা নাকি মাঝেমধ্যেই বারুইপুরের বেগমপুরের ‘বিশ্রাম’-এ বিশ্রাম নিতে যেতেন। লং ড্রাইভ বা ফোনে কথা নয়, ছুটি পেলে মাছও ধরতেন দু’ জনে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.