সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রর (Sreelekha Mitra) কাছে এবারের পুজোটা বড্ড মনখারাপের। সদ্যই বাবাকে হারিয়েছেন তিনি। অভিনেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে নজর রাখলে, বাবার সঙ্গে তাঁর টুকরো টুকরো স্মৃতির কথা ধরা পড়ে। এভাবে হঠাৎ করে বাবা চলে যাবেন তা এখনও বিশ্বাস করতে পারচ্ছেন না শ্রীলেখা। তাই তো মাঝে মধ্যে অ্যালবাম ঘেঁটে, পুরনো ছবি দেখছেন, স্মৃতিতে ঢুঁ মারছেন। যে স্মৃতিতে তিনি আর শুধুই তাঁর বাবা। তবে এটাই জীবন। সব কিছু মেনে নিয়ে এগিয়ে চলতে হবে। ধীরে ধীরে নিজের মনকে শক্ত করতে হবে। ঠিক চেষ্টাতেই রয়েছেন যেন শ্রীলেখা। আর তাই মেয়ের আবদারে তিনি বেরিয়ে পড়লেন শপিংয়ে। সেই ছবিই নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন শ্রীলেখা। ছবি পোস্ট করে শ্রীলেখা লিখলেন, ‘বের হলাম খানিকটা জোর করেই মেয়ের শপিং করতে।’
বাবাকে হারানোর পর শ্রীলেখা তাঁর ফেসবুকে বারবার নানা স্মৃতির কথা লিখেছেন। যেমন, সম্প্রতি শ্রীলেখা এমনই এক স্মৃতির কথা তুলে ধরেছিলেন তাঁর ফেসবুকে। যেখানে বাবাকে নিয়ে বাংলাদেশে পাড়ি দেওয়ার গল্প শুনিয়েছেন শ্রীলেখা। তাঁর বাবার খুব ইচ্ছে ছিল পুরনো ভিটেমাটিকে ঘুরে আসার, সেই ইচ্ছেপূরণের গল্পই শোনালেন শ্রীলেখা। ফেসবুকে অভিনেত্রী লিখলেন, ‘বাবার মুখে বাংলাদেশ মাদারিপুরের ঘটমাঝি গ্রাম, জমিদারবাড়ির গল্প শুনে বেড়ে ওঠা। মিত্তিরদের পুজো, মিত্তিদের ঘাট, মিত্তিরদের বাজার, পোস্ট অফিস, শ্মশান। অসংখ্য মানুষদের মতো দেশ ভাগের শিকার আমরাও। সে গল্প না হয় আরেকদিন হবে।’
এই পোস্টেই শ্রীলেখা লিখেছিলেন, ‘২০০৭ সালে শিকড়ের টানে পৌঁছে গেলাম বাংলাদেশে। রুনা লায়লা আপু ও আলমগীর ভাইয়ের আপ্যায়ণ. যত্ন নিয়ে বলার শেষ নেই। ছোটবেলায় টিভিতে দেখা দমাদম মস্ত কলন্দর, সাধের লাউ গানগুলো আমার একেবারে মুখস্থ। আমি খুব বড় ফ্যান রুনা লায়লার। তাঁদের বাড়িতেই আমরা অতিথি। শুধু অর্থের ধনী নন, মনের দিক থেকে তাঁরা অনেক অনেক ধনী। বাবার বাংলাদেশে যাওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল। সেই ইচ্ছেপূরণ করতে পেরেছি।’ এই সব স্মৃতি তো থাকবেই। মন খারাপও থাকবে। তবুও ভাল থাকার জন্য এভাবেই রসদ খুঁজে পাবেন শ্রীলেখা। শুরুটা না হয় মেয়ের আবদার রক্ষা করতেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.