সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “জানি না ওকে কীসের টোপ দিল। আমি তো জানতাম বামপন্থীরা বিক্রি হয় না।” অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে বিস্ফোরক শ্রীলেখা মিত্র। ‘বামপন্থী’ সায়নীর এই ‘পালটি’ হতভম্ব করেছে শ্রীলেখাকে। অভিনেত্রীর কথাতেই স্পষ্ট, সায়নীর এই সিদ্ধান্তে তিনি ‘ব্যথিত’।
বস্তুত, সায়নীর তৃণমূলে যোগদানের এই সিদ্ধান্তে অনেকেই চমকৃত। কারণ, একটা সময় অনীক দত্তের ছবি ‘ভবিষ্যতের ভূতে’র প্রদর্শনী বন্ধের প্রতিবাদে সায়নীকেই সরব হতে দেখা গিয়েছিল। রাজ্য সরকারকে সেসময় ফ্যাসিস্ট বলেও তোপ দেগেছিলেন তিনি। তাছাড়া, ঘনিষ্ঠ মহলে সায়নী পরিচিত বামপন্থী হিসেবেই। যদিও সম্প্রতি শাসক দলের নেতামন্ত্রীদের সঙ্গে তাঁর সখ্য বেশ লক্ষণীয় ভাবেই বাড়ছিল। সায়নীর তৃণমূলে যোগ নিয়ে ‘ভবিষ্যতের ভূত’ প্রসঙ্গ তুলে শ্রীলেখা বললেন, “যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল অনীক দত্তর ছবি বন্ধ করে দিল, তখন ওকেই আমি দেখেছি বিভিন্ন মঞ্চে উঠে প্রতিবাদ করতে। এমন কী ঘটে গেল? আমি ওঁকে যথেষ্ট স্নেহ করতাম। একসঙ্গে কাজও করেছি। ওঁর সঙ্গে আমি খুব যে মিশেছি তা নয়, পেশাগতভাবেই মিশেছি। কিন্তু এমন কী হল বুঝতে পারছি না। কী টোপ দিল? আমার মনে হয় ও কোনও বড় টোপ পেয়েছে। ওঁকে হয়তো ইলেকশনে দাঁড় করানো হবে। সেটা যদি হয়ও, টোপ পেলেই যে মানুষ টোপটা গিলে নেবে, সেটা তো হয় না? আমি অন্তত ভাবিনি সায়নী এই টোপটা গিলে নেবে।
শ্রীলেখার আক্ষেপ, “ও ভীষণভাবে বামপন্থী ছিল বলে আমি জানতাম। যে এত ভাল কথা বলে, ছাত্রছাত্রীরা ওঁকে আদর্শ মনে করত। তাঁদের কাছে ওঁর কী ভাবমূর্তি দাঁড়াল? ও যে রুদ্রনীলকে ‘পালটিবাজ’ বলে আক্রমণ করেছিল, এবার ও নিজেই তো সেটা করল।” অভিনেত্রী বলছেন, “যাঁরা বামপন্থায় বিশ্বাস করেন, তাঁরা বিক্রি হন না বলেই আমি জানতাম। আমার কাছেও তো প্রলোভন এসেছিল। আমাকেও টোপ দেওয়া হয়েছিল। আমি তো সেটা শোনার প্রয়োজনও বোধ করিনি। আমি খুব আশাহত। আমি জানি না ওঁর সঙ্গে কী বলব। সায়নীর এই সিদ্ধান্ত আমাকে সত্যিই হতভম্ব করেছে।”
কারণ যাই হোক, ভোটের মুখে সায়নীর শাসক শিবিরে যোগদান বাড়তি তাৎপর্য রাখে। এখন দেখার সত্যিই শাসকশিবির সায়নীকে আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থী করে কিনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.