সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বয়েস লকার রুম’-এই একটা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের নাম নিয়ে গোটা দেশ বর্তমানে উত্তাল। গ্রুপ চ্যাটে মেয়েদের অশ্লীল ছবি দিয়ে গণধর্ষণের ইচ্ছে প্রকাশ থেকে মেয়েদের নিয়ে তাদের ফ্যান্টাসির কথোপকথন দেখে, চক্ষু রীতিমতো চরক গাছ হওয়ার জোগাড়! দিল্লির এক হাইপ্রোফাইল স্কুলের ‘গুণধর’ এই ছাত্রদের কাণ্ডে হতবাক দেশবাসী। ওই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের গ্রুপ চ্যাটের স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে আসতেই সরগরম হয়ে উঠেছে নেটদুনিয়া। দেশের তরুণ প্রজন্মের এমন মন-মানসিকতা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন মনস্তত্ববিদদের একাংশ। কোন শিক্ষা থেকে কিংবা কোন পরিস্থিতিতে কোনও ছাত্রের এমন নিকৃষ্ট প্রকৃতির মানসিক গড়ন হয়ে উঠতে পারে? সেই প্রশ্ন তুলেই ‘বয়েস লকার রুম’ প্রসঙ্গে সরব হলেন বলিউড তারকারা। তালিকায় রয়েছেন সোনম কাপুর, স্বরা ভাস্কর, রিচা চাড্ডা থেকে সিদ্ধান্ত চতুর্বেদীর মতো আরও অনেকেই।
সোনম কাপুরের কথায়, “মা-বাবার অবহেলাই এর নেপথ্যে মূল কারণ। ছেলেদের লালন-পালন করে এমনভাবে বড় করে তুলেছেন যে ওরা মানুষকে মানুষ হিসেবে শ্রদ্ধাও করতে শেখেনি। ছেলেগুলোর লজ্জা হওয়া উচিত।” অভিনেতা চন্দন রায় সান্যালের মন্তব্য, “একটা ১৫ বছরের ছেলে নিজের ক্লাসমেটকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করছে, অবিশ্বাস্য!” চন্দনের টুইট শেয়ার করেই অভিনেত্রী রিচা চাড্ডা বললেন, “এ তো বহুদিনের সমস্যা! আমাদের মতো জনবহুল এবং অতি নীতিবাদী দেশে যৌনশিক্ষা নিয়ে প্রত্যেকের একটা আড়ষ্ট, রাখঢাক ব্যাপার রয়েছে। তাই কৈশোরেই যৌনশিক্ষার পরিবর্তে পর্ন দেখায় অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। আর এখন তো ইন্টারনেট ডেটাও ফ্রি! কী ভয়ংকর। অদূর ভবিষ্যতে এর প্রভাব তো আর বেড়ে দাঁড়াবে!”
অন্যদিকে, স্বরা ভাস্করের মন্তব্য, “এই ‘বয়েস লকার রুম’ কথোপকথন দেখে আরও একবার স্পষ্ট হল যে, কীভাবে কম বয়সেই ছেলেদের মধ্য পুরুষত্ববোধ জেগে ওঠে। কম বয়সি ছেলেরা কীভাবে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করার পরিকল্পনা করছে। বাবা-মা এবং শিক্ষকদের এই ছেলেগুলোকে খুঁজে বের করা উচিত। শুধু ধর্ষকদের ফাঁসিতে ঝুলিয়েই লাভ নেই! এই মানসিকতাটাকে আগে রোধ করা উচিত, যা থেকে ভবিষ্যতের একটা ধর্ষকে জন্ম হতে পারে!”
ইনস্টাগ্রামে স্কুলের ছাত্রদের গ্রুপ। যার পোশাকি নাম #BoysLockerRoom। সেখানেই অশ্লীল মেসেজের ছড়াছড়ি। অনুমতি ছাড়াই বান্ধবীদের ছবি পোস্ট করা, আর তা নিয়ে নানান অশ্লীল আলোচনা। এমনকী, ধর্ষণকে আইনি করে দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে কেউ কেউ। যাতে স্কুলের বান্ধবীদের ধর্ষণ করতে পারে তারা। ইনস্টগ্রামের একটি গ্রুপের চ্যাটের কয়েকটি স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ঢিঁঢিঁ পড়ে যায়। খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই গ্রুপটিকে ব্লক করে দেওয়া হয়। এরপরই ওই গ্রুপের সদস্যদের গ্রেপ্তারির দাবি জানিয়ে ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ ও দিল্লি পুলিশকে নোটিস দিয়েছিল দিল্লি মহিলা কমিশন। কমিশনের চেয়্যারম্যান স্বাতী মালওয়ালি জানান, দিল্লি পুলিশ ও ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষকে তাঁরা নোটিস পাঠিয়েছেন। দিল্লি পুলিশ ওই গ্রুপের বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিল। এরপর মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশের সাইবার সেলের তরফে জানানো হল, এই কাণ্ডে প্রায় প্রত্যেককেই চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে।
This a multi-faceted problem. Because everyone is still squeamish about sex education in our populous/moralistic country, teenagers are confusing porn for sex education! And now data is free. How dangerous! This will explode in our faces in the next five years sadly,I reckon. https://t.co/mPVaXPOe6d
— TheRichaChadha (@RichaChadha) May 5, 2020
#boyslockerroom a telling tale of how toxic masculinity starts young! Underage boys gleefully planning how to rape & gangrape minor girls. Parents & teachers must address this with those Kids.. Not enough to ‘hang rapists’ .. we must attack the mentality that creates rapists! https://t.co/Jw4cFQ9gXM
— Swara Bhasker (@ReallySwara) May 5, 2020
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.