সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা শত্রুঘ্ন সিনহা মনে করেন সোনাক্ষী-জাহির একেবারে রাজযোটক। অন্যদিকে সোনাক্ষীর দাদা লব সিনহার কিন্তু এই বিয়েতে তেমন সায় ছিল না। এবং লব, প্রকাশ্যে তা স্বীকারও করেছেন। তবে সিনহার পরিবারের অন্দরে বিয়ে নিয়ে এসব মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় ভ্রুক্ষেপ নেই সোনাক্ষীর। বরং জাহিরের সঙ্গে মধুযাপনেই এখন মন তাঁর। তা কোথায় গেলেন হানিমুনে?
বলিউড সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, আপাতত মুম্বইয়েই আছেন সোনাক্ষী ও জাহির। মুম্বইতেই একান্তে সময় কাটাচ্ছেন। তবে হানিমুনে তো অবশ্যই যাবেন। জাহির ও সোনাক্ষীর হাতের কিছু কাজ শেষ করেই নাকি হানিমুনে পাড়ি দেবেন। আর এ ব্য়াপারে নাকি ইউরোপকেই বেছে নিয়েছেন দম্পতি।
বিয়ের ছবি পোস্ট করতেই একের পর এক কটাক্ষবাণ ধেয়ে এসেছে। কেউ জাত-ধর্ম তুলে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করছেন তো কেউ বা আবার লাভ জিহাদের অভিযোগ এনেছেন। কারও প্রশ্ন, ‘মুসলিম পরিবারে বিয়ে করেও কেন সিঁথিতে সিঁদুর পরেছেন?’ এই দৃশ্য খুব একটা অচেনা নয় বিনোদুনিয়ায়। ঠিক একইভাবে মুসলিম ধর্মাবলম্বী প্রেমিককে বিয়ে করে হিন্দু সংগঠন এবং মৌলবীদের রোষানলে পড়তে হয়েছিল স্বরা ভাস্করকে। প্রথম বিয়ের সময় নুসরত জাহানকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল নেটপাড়া। এবার সোনাক্ষী সিনহার ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি! মুসলিম পাত্র জাহির ইকবালকে বিয়ে করার জেরে তাঁকেও লাগাতার আক্রমণের জেরে পড়তে হয়েছে। তিতিবিরক্ত হয়ে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের কমেন্ট সেকশনই বন্ধ করে রেখেছেন অভিনেত্রী। এবার পরম ধর্মের পাঠ দিয়েছেন সোনাক্ষী সিনহা।
২৩ জুন নিজস্ব অ্যাপার্টমেন্ট ‘অওরিয়েত’-এ প্রিয়জনদের সাক্ষী রেখে বিয়ে সারেন সোনাক্ষী ও জাহির। মেয়ের পাশেই হাসিমুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা ও তাঁর স্ত্রী পুনম। তবে সোনাক্ষী-জাহিরের বিয়ে নিয়ে সোশাল মিডিয়াতেও কাঁটাছেড়ার অন্ত নেই। নিন্দুকদের কটাক্ষ, ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ চলছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ‘X’ হ্যান্ডেলে কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাথ লেখেন, “সাত বছরের সম্পর্কের পর দুজন মানুষ ভালোবেসে বিয়ে করেছেন। তাতে তো তাঁদের ভবিষ্যতের জন্য ভালোবাসায় ভরা শুভেচ্ছার প্রত্যাশা থাকে। কিন্তু তার বদলে ওদের ইনস্টাগ্রামের কমেন্ট সেকশন বন্ধ করে দিতে হল, যাতে ঘৃণায় ভরা মন্তব্যের মুখে পড়তে না হয়।” এবার সেই ‘বিয়ে বিতর্ক’ ইস্যুতেই নিন্দুকদের ‘খামোশ’ করালেন অভিনেত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.