সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি সংগীত শিল্পী অনুরাধা পড়োয়ালের কন্যা। কিন্তু মা হওয়া সত্ত্বেও সেই সন্তানের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছিলেন শিল্পী। অনুরাধা পড়োয়ালের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন কেরলের বাসিন্দা কর্মালা মডেক্স। শুধু তাই নয়, এই দাবি তুলে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন বছর পঁয়তাল্লিশের ওই মহিলা। এবার গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন বলিউডের গায়িকা। বেশ কড়া ভাষাতেই কর্মালাকে একহাত নিলেন তিনি।
সম্প্রতি তিরুবন্তপুরমের বাসিন্দা কর্মালা দাবি করেন, তিনি অনুরাধা পড়োয়ালের মেয়ে। এ নিয়ে জেলা ফ্যামিলি আদালতে একটি মামলাও দায়ের করেন তিনি। কর্মালা জানান, তিনি অনুরাধা ও তাঁর প্রাক্তন স্বামী অরুণ পাড়োয়ালের সন্তান। সেইসময় প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে ধীরে ধীরে খ্যাতির শিখরে উঠছিলেন অনুরাধা। ফলে তিনি সন্তানের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন। তাই জন্মের পরই পরিবারের ঘনিষ্ঠ মালয়ালি দম্পতি পন্নাচন ও অ্যাগনেসের হাতে তাঁকে তুলে দেন অনুরাধা। তাঁরাই কর্মালাকে বড় করেন। পালক পিতা পন্নাচন দীর্ঘদিন মেয়ের কাছ থেকে সত্যিটা লুকিয়ে রেখেছিলেন। মৃত্যুর আগে তাঁকে সব কথা বলে যান। পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত গায়িকার কাছে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ কোটি টাকা ও পড়োয়াল সম্পত্তির অংশও দাবি করেছেন কর্মালা। এমনকী মা হিসেবে অনুরাধাকেও ফিরে পেতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি।
গোটা ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ স্বনামধন্য গায়িকা। এই প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “কেউ মূর্খের মতো কোনও মন্তব্য করলে তার উত্তর আমি দেব না। এটা আমার রুচির বিরুদ্ধ।” সংগীত শিল্পীর মুখপাত্র আবার কর্মালাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলেও দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “অনুরাধার মেয়ে কবিতা ১৯৭৪ সালে জন্মেছিলেন। তাই কর্মালার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। অনুরাধার স্বামীর কথাও বলছে কর্মালা। কিন্তু সে জানেই না তিনি প্রয়াত হয়েছেন। আর ও যদি অনুরাধার মেয়ে হয়, তাহলে ৫০ কোটি না চেয়ে উলটে ওর টাকা দেওয়া উচিত।”
বর্তমানে কর্মালা বিবাহিতা। ৩ সন্তানের মা। তিনি জানান, বহুবার চেষ্টা করেও অনুরাধা পড়োয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। তাঁর করা মামলার শুনানি ২৭ জানুয়ারি। প্রয়োজনে DNA পরীক্ষাতেও রাজি তিনি। এবার দেখার জল কোন দিকে গড়ায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.