Advertisement
Advertisement

অযোধ্যায় হাজারিবাগের হাতিতেই ‘কুপোকাত’ চাঁদের পাহাড়ের শঙ্কর

শঙ্কর আমাজনের অ্যানাকোন্ডাকে বশে আনতে পারলেও হাজারিবাগের দাঁতালের সঙ্গে পাঞ্জা নেওয়া সাহসে কুলোচ্ছে না তাঁর৷

Shooting of Chander Pahar 2 disrupted by elephants
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 19, 2016 5:43 pm
  • Updated:January 28, 2020 3:16 pm  

সুমিত বিশ্বাস: কেশর ফুলিয়ে ছুটছে সিংহ৷ থাবা থেকে বাঁচতে প্রাণপণে ছুটছে শঙ্কর৷ তারপর সুযোগ পেয়েই বন্দুকের একটি গুলিতে সিংহ সাবাড়৷ রাতের অন্ধকারে শঙ্করকে তাক করে আছে আফ্রিকার অতি বিষাক্ত ব্ল্যাক মাম্বা৷ তার চোখে টর্চের আলো ফেলে রেখে পিছু হটতে বাধ্য করেছিল শঙ্কর৷ চাঁদের পাহাড়ের শঙ্করের কাছে একে একে হার মেনেছে আফ্রিকান সিংহ, ব্ল্যাক মাম্বা৷ সেই শঙ্কর কিনা, থুড়ি দেব, থুড়ি চাঁদের পাহাড় ২-এর পুরো টিম হাজারিবাগের হাতির ভয়ে সূর্য ডোবার আগেই পাততাড়ি গুটিয়ে নেমে পড়ছে অযোধ্যা পাহাড় থেকে৷ অযোধ্যা পাহাড়ে হাজারিবাগের সতেরোটি বুনো হাতির দল সন্ধ্যার পর হানা দিতে পারে-এই খরব পেয়ে সন্ধের সিকোয়েন্স ক্যামেরার কারসাজিতে বিকেলেই সারতে হচ্ছে সিনেমার পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়কে৷ রিশিডিউল করতে হচ্ছে শুটিংয়ের৷

চাঁদের পাহাড় ২-র শুটিং দ্বিতীয় দফায় সোমবার থেকে শুরু হয়েছে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে৷ অযোধ্যা হিলটপের পাতাল ড্যামের যে লোকেশনে শুটিং চলছে সেখানেই তিন-চারদিন ধরে আস্তানা গেড়েছে হাজারিবাগ থেকে আসা সতেরোটি বুনো হাতি৷ ফলে বাঘমুণ্ডি থানার পুলিশ ও বনদফতর শুটিং পার্টিকে সতর্ক করে দিয়েছে আগেই৷ ফলে আর ঝুঁকি নিচ্ছেন না পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়৷ তাঁর কথায়, “শুনলাম অযোধ্যার জঙ্গলে নাকি হাতির দল আছে৷ কী আর করা যাবে৷ প্রশাসনের কথা শুনতেই হচ্ছে৷” তাছাড়া সতেরোটি হাতির দলের কথা শুনে বিকেলের পর থেকেই রীতিমতো ঘামছেন শুটিং ইউনিটের লোকজন৷ শুটিং দেখতে আসা অযোধ্যা হিলটপের রাঙা, টারপানিয়া, বাঁধঘুটু গ্রামের বাসিন্দাদের কাছ থেকে এই বুনো হাতির ‘রণং দেহি মেজাজের’ কথা শুনে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে তাদের৷ তাই বিকেল পাঁচটা বাজতে না বাজতেই পাততাড়ি গুটিয়ে পুরুলিয়া শহরের দিকে রওনা দিচ্ছেন টলিউড স্টার দেব-সহ গোটা ইউনিট৷

Advertisement

আসলে সন্ধে নামলেই এই হাতির দল যখন খাবারের জন্য পাহাড় থেকে নেমে আসে তখন মশাল হাতে হুলা পার্টিকেও বেগ পেতে হয়৷ সারাদিন জঙ্গলে কাটিয়ে ফসল খেতে মরিয়া হয়ে ওঠে তারা৷ এখন আবার গোটা পাহাড় জুড়ে হালকা হলদে ধানের গন্ধ৷ ফলে মশাল, পটকাকেও আর ভয় পাচ্ছে না এই বুনো হাতিরা৷ সেখানে যদি আবার শুটিং ইউনিট সামনে পড়ে যায় তাহলে আর রক্ষে নেই৷ এই সিনেমার প্রযোজক সংস্থার স্থানীয় কো-অর্ডিনেটর মোহিত লাটা বলেন, “শুনেছি হাজারিবাগের দাঁতালগুলো নাকি সামনে পেলেই শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে৷ ফলে ঝুঁকি নিয়ে কী লাভ৷ আমরা সতর্ক হয়ে তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে নিচ্ছি৷” দেবের মতো ওই ছবির নায়িকা শেভেত লানাও বিকেলের পর থেকে আর থাকছেন না৷ সন্ধের ক্যাম্প ফায়ারের দৃশ্য টেক হয়ে যাচ্ছে সূর্য ডোবার আগেই৷ অথচ শুটিংয়ের শিডিউলে সন্ধে সাতটা পর্যন্ত সময় ধরা রয়েছে৷ পুরুলিয়ার এডিএফও রাজু রায় বলেন, “আমাদের হুলা পার্টি রয়েছে৷ তবুও আমরা শুটিং পার্টিকে বলেছি সতর্ক হয়ে কাজ করতে৷” শঙ্কর আমাজনের অ্যানাকোন্ডাকে বশে আনতে পারলেও হাজারিবাগের দাঁতালের সঙ্গে পাঞ্জা নেওয়া সাহসে কুলোচ্ছে না তাঁর৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement