সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিহামলা নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শত্রুঘ্ন সিনহার। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রবীণ নেতা-অভিনেতার মন্তব্য, ‘একেবারে প্রোপাগান্ডা যুদ্ধ চলছে…।’ আর শত্রুঘ্নর এহেন মন্তব্যেই নেটপাড়ার একাংশ রে-রে করে উঠেছেন। তাঁদের একাংশের কথায়, ‘নিরীহ হিন্দুদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে আপনার কোনও মত নেই?’ সাংবাদিকরাও এই একই প্রশ্ন ছুড়েছিলেন শত্রুঘ্নকে। কিন্তু ‘বিভাজন নীতি’র ফাঁদে পা দিতে নারাজ তিনি। বরং, নিন্দুক-সমালোচকদের ‘খামোশ’ করিয়ে দিয়েছেন নিজের জবাবে।
ফটোশিকারিরা ছেঁকে ধরে পহেলগাঁও নিয়ে প্রশ্ন করতেই ‘তেলে-বেগুনে’ জ্বলে ওঠেন শত্রুঘ্ন সিনহা। কোনওরকম রেয়াত না করেই পালটা প্রশ্ন ছোড়েন, “এত্ত হিন্দু, হিন্দু করার কী আছে? হিন্দু, মুসলিম, যাই হোক না কেন, ওখানকার সকলেই তো মুসলিম।” এরপরই তাঁর আর্জি, “যা চলছে, এটা প্রোপাগান্ডা যুদ্ধ ছাড়া আর কিছুই নয়! আমার মনে হয়, পহেলগাঁওয়ের ঘটনা অত্যন্ত সংবেদনশীল। খুব গভীরভাবে খতিয়ে দেখা উচিত। আমাদের কারও এমন কিছু বলা বা করা উচিত নয়, যা এই কঠিন সময়ে উত্তেজনার সৃষ্টি করে। এই মুহূর্তে, যে গভীর ক্ষতর সৃষ্টি হয়েছে, আগে সেটা সেরে ওঠা দরকার।” মেয়ে সোনাক্ষী সিনহারও তেমনই মন্তব্য।
View this post on Instagram
অভিনেত্রীর শেয়ার করা পোস্টে উল্লেখ, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের বীজ পুঁতে দেওয়া হচ্ছে ভারতীয়দের মনে। সন্ত্রাসবাদীদের লক্ষ্য শুধু নিরীহ মানুষদের হত্যা করা ছিল না, বরং তাদের আসল উদ্দেশ্য ছিল, দেশবাসীর মনে অবিশ্বাস তৈরি করা। ভারতীয় হিন্দুদের ভারতীয় মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঠেলে দেওয়া। দুই সম্প্রদায়ের প্রতিবেশী এবং বন্ধুদের মধ্যে অবিশ্বাসের বিষ ছড়িয়ে দেওয়া। এটা একেবারেই ইচ্ছাকৃত ক্যাম্পেন। পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় ভারতীয় হিসেবে শোক করার পরিবর্তে, আমাদের হিন্দু হিসেবে শোকপ্রকাশ করতে বলা হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরিবর্তে সম্প্রীতির মেরুদণ্ডকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু দেশবাসীর এই মনোকষ্টকে হাতিয়ার করে এক ভারতীয়কে অন্য ভারতীয়ের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দেওয়ার এই প্রবণতা ক্ষমার অযোগ্য।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.