Advertisement
Advertisement

Breaking News

বেনামি সম্পত্তি মামলায় স্বস্তিতে শাহরুখ, মিটল আলিবাগ বাংলোর জটিলতা

কৃষিজমিতে প্রাসাদোপম বাংলো কিং খানের।

Shah Rukh relieved from income tax case
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 30, 2019 1:21 pm
  • Updated:January 30, 2019 1:21 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : আপাতত কিছুটা স্বস্তিতে শাহরুখ খান। মহারাষ্ট্রের আলিবাগের বাংলোর মালিকানা সংক্রান্ত আইনি জটিলতা কাটল। মঙ্গলবার তাঁকে স্বস্তি দিয়ে আয়কর দপ্তর জানিয়ে দিল, শাহরুখ খান নিরপরাধ। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন।
বেশ কয়েক বছর ধরে বলিউড বাদশার সময়টা ভাল যাচ্ছে না। বছর পাঁচ ধরে বক্স অফিসে ভালো ব্যবসার মুখ দেখছে না তাঁর অভিনীত, প্রযোজিত ছবি। এর পাশাপাশি গত বছর দোসর হয়েছিল বেআইনি সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি জটিলতা। আয়কর দপ্তরের স্ক্যানারে পড়তে হয়েছিল। মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, শাহরুখ খানের মহারাষ্ট্রের আলিবাগের বাংলো নাকি দেজাভু নামে একটি সংস্থার নামে কিনেছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক। এই বাংলো মালিকানা নিয়েই তৈরি হয়েছিল জটিলতা। দিল্লির আয়কর বিভাগ সূত্রে খবর, ২০১৭ সালে ডিসেম্বর থেকে দেজাভু প্রাইভেট লিমিটেডের উপর নজর রাখছিলেন আয়কর দপ্তরের কর্মীরা। শাহরুখের এই সম্পত্তির মোট পরিমাণ ১৯,৯৬০ বর্গ মিটার। যেখানে মাঝেমধ্যেই শাহরুখ পার্টির আয়োজন করে থাকেন। বাংলো এবং তৎসংলগ্ন বিশাল এলাকায় কী নেই? সুইমিং পুল, ফুটবল মাঠ, এমনকি হেলিপ্যাড – রয়েছে সবই। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, কৃষিকাজ করা হবে বলে জমিটি কিনেছিলেন
অভিনেতা। পরে সেখানে প্রাসাদোপম বাংলো বানিয়েছেন। শাহরুখ বা অভিযুক্ত সংস্থা কীভাবে এই বাংলো বানানোর অনুমতি পেয়েছেন, তাও খতিয়ে দেখেছেন আয়কর দপ্তরের কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বেআইনি কিছু পাওয়া যায়নি।

                                          বিদেশি মুদ্রা পাচারের অভিযোগ, রাহাত ফতে আলি খানকে শোকজ ইডির

বেনামি সম্পত্তি উদ্ধারে সংসদে আইন তৈরি হয়েছিল ১৯৮৮ সালে। কী এই বেনামি সম্পত্তি? যে কোনও রকম সম্পত্তি যা একজনের (বেনামিদার) নামে রয়েছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেই সম্পত্তির মালিকানা এবং সম্পত্তি ভোগ করেন অন্য ব্যক্তি (সুবিধাভোগী মালিক)। এই রকম সম্পত্তির লেনদেনের খোঁজ পেলে বেনামিদার এবং সুবিধোভোগী দু’জনের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার আছে আয়কর দপ্তরের। ২০১৬ সাল থেকে বেনামি সম্পত্তি লেনদেন রুখতে কড়া হাতে আইন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় মোদি সরকার। সেইমতো আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে শুরু করে আয়কর দপ্তর। নির্দেশ পৌঁছে যায় সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে৷ ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত তাতেই ৬৯০০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এবার সেই বেনামি সম্পত্তি উদ্ধারেই বড়সড় সাফল্য পেল আয়কর দপ্তর। পাশাপাশি একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আয়কর দপ্তর জানিয়েছে, যে বা যাঁরা এই বেনামি সম্পত্তি লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের সাত বছর পর্যন্ত জেল এবং বাজার মূল্যের হিসাবে বেনামি সম্পতির ২৫ শতাংশ জরিমানা দিতে হবে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement