Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা

করোনা আতঙ্কের জেরে ফাঁকা অধিকাংশ আসন, বন্ধ হওয়ার মুখে কলকাতার সিনেমাহলগুলি

টিকিট বিক্রি কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ।

Seats are empty, theatres of Kolkata may shut down
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:March 14, 2020 11:42 am
  • Updated:March 14, 2020 11:47 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার আতঙ্কে স্তব্ধ দিল্লি। ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ ও সিনেমাহল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। বেশিরভাগ অফিস তার কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার কথা বলেছে। এবার সম্ভবত সেই একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গও। ইতিমধ্যেই করোনার জেরে বন্ধ সাউথ পয়েন্ট স্কুল। এবার রাজ্যের সমস্ত সিনেমাহলগুলিও বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে খবর।

ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রদর্শনী বিভাগের চেয়ারম্যান রতন সাহা জানিয়েছেন, করোনার প্রভাব পড়েছে রাজ্যের সিনেমাহলগুলিতেও। টিকিট বিক্রি কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। “সিঙ্গলস্কিন থিয়েটারগুলি এমনিতেই ধুঁকতে ধুঁকতে চলে। করোনার প্রভাবে তারা এখন ভাল ব্যবসা করতে পারছে না। এমনকী মাল্টিপ্লেক্সগুলির অবস্থাও তথৈবচ। করোনার আতঙ্কে সেখানেও কেউ যাচ্ছে না। তাহলে আর হলগুলি খুলে রেখে লাভ কী? তবে এ বিষয়ে রবিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।” নবীনা সিনেমাহলের মালিক নবীন চৌখানি জানিয়েছেন, ‘আংরেজি মিডিয়াম’ ছবির ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শোয়ে মাত্র ৫০ জন দর্শক ছিলেন। অথচ এই সিনেমাহলে প্রায় ৮০০ মানুষ একসঙ্গে সিনেমা দেখতে পারেন। সেদিক থেকে দেখতে গেলে ৫০ শতাংশ সিটও বুক হয়নি। এর চেয়ে হল বন্ধ করে দেওয়া ভাল বলে জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ‘আবার বছর কুড়ি পরে’ রিইউনিয়নের নস্ট্যালজিয়া তুলে ধরবেন অর্পিতা-আবির-তনুশ্রী ]

তবে কিছুদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখার পক্ষপাতী তিনি। তারপরও যদি দেখা যায় এভাবেই লাভের গুড় পিঁপড়েয় খেয়ে যাচ্ছে, তাহলে বন্ধ করে দেওয়াই যুক্তিসঙ্গত। মিনার, বিজলি ও ছবিঘর সিনেমাহলের মালিক সুরঞ্জন পাল জানিয়েছেন, “মানুষ এখন অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন। সেই কারণেই সিনেমাহলে আসছে না তাঁরা। তার ফলে টিকিট বিক্রি কমেছে।” প্রিয়া সিনেমাহলের মালিক অরিজিৎ দত্তের বক্তব্যও একই। তাঁর মতে, “যদি মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতি হয় তবে সিনেমাহল খোলা রাখা সম্ভব নয়। টিকিট বিক্রি প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গিয়েছে। যদিও ছবির বিষয়বস্তু একটা বড় ব্যাপার। কিন্তু এখবর সেসব নিয়ে কেউ মাথা ঘামাচ্ছে না। বেশিরভাগ ছবির মুক্তিই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক সিঙ্গলস্ক্রিন ক্ষতিতে চলছে। কিন্তু যদি একবার বন্ধ হয়ে যায়, তবে তা আবার কবে খুলবে, তা নিয়ে সংশয় আছে।”

[ আরও পড়ুন: ‘স্যানিটাইজার মাহাত্ম্য জানে সিমরনও’, DDLJ নিয়ে মিম শেয়ার করে সতর্কবার্তা কাজলের ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement