ছবি- ইনস্টাগ্রাম
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার সঙ্গেই বরানগর উপনির্বাচনের। তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। টলিউডের থেকেও বর্তমানে রাজনৈতিক লাইমলাইটে বেশি থাকেন তিনি। তবে রাজভবনের সঙ্গে শপথগ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণেই দীর্ঘ এক মাস কেটে গেলেও শপথ নেওয়া হয়নি সায়ন্তিকার। এর মাঝেই বৃহস্পতিবার সোশাল মিডিয়ায় ফোলা পায়ের ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। যা দেখে অনুরাগীরাও উদ্বিগ্ন!
আচমকাই কী হল সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? প্রশ্ন অনুরাগীদের। এই ছবি আসলে তাঁর ভোটপ্রচার পর্বের স্মৃতিচারণ। দীর্ঘ দু মাস ধরে বরানগরে আদা-জল খেয়ে প্রচারের ময়দানে পড়েছিলেন সায়ন্তিকা। গত ৪ জুন তার ফল পেয়েছেন। নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রমই যে তাঁর কাছে জয় এনে দিয়েছে, সেকথাই জয়ের মাসপূর্তির দিনে মনে করিয়ে দিলেন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক। তাঁর শেয়ার করা ছবিতে দেখা গেল বীভৎসভাবে পায়ের পাতা ফুলে গিয়েছে। ভোটপ্রচারের সময় যে হাড় ভাঙা খাটুনি তিনি খেটেছিলেন, এটা তারই জেরে ঘটেছে। কষ্ট করলেই যে কেষ্ট মেলে, ছবি দিয়ে সেই বার্তাই দিলেন সায়ন্তিকা। তাঁর কথায়, “প্রচুর হেঁটে হেঁটে পা ফুলে গিয়েছিল। কষ্ট করেছি বলেই কেষ্ট মিলেছে। অনেকেই ভাবেন অভিনেত্রী বলে মানুষের কাজ করতে অপারগ। কিন্তু বরানগরের মেয়ে হয়ে উঠতে লড়াই করতে হয়েছে আমাকেও।”
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন রাজভবনে বিধায়কদের শপথগ্রহণ করাতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নিয়ম বিরুদ্ধ প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ করে তৃণমূল বিধায়করা জানিয়ে দেন, তাঁরা বিধানসভায় শপথ নিতে আগ্রহী। সেই থেকেই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের সূত্রপাত। বৃহস্পতিবার জয়ের মাসপূর্তির দিনেও বিধানসভায় আম্বেদকর মূর্তির নীচে ধরনায় বসেছিলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভগবানগোলার বিধায়ক রায়াত হোসেন।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে প্রথমবার টিকিট পান সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়(Sayantika Banerjee)। বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে বিজেপি প্রার্থী নীলাদ্রিশেখরের কাছে ভোটে হারলেও জমি আঁকড়ে পড়েছিলেন বাঁকুড়ায়। সেই নিষ্ঠা দেখে অভিনেত্রীকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সেই বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি টিকিট পাবেন বলেও মোটের উপর নিশ্চিত ছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু শেষমেশ প্রার্থী করা হয়নি তাঁকে। যার জেরে ‘অভিমান’-এ দলের সমস্ত পদ ছাড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে চিঠিও দিয়েছিলেন বলে খবর ছিল। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, দলও ছাড়তে পারেন সায়ন্তিকা। তবে সেই সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে তৃণমূলের হাত আরও শক্ত করে ধরেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.