সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেয়া শেঠ বহুদিন ধরেই প্রসাধনী দ্রব্যের পাশাপাশি নিজস্ব ব্র্যান্ডে গয়না এবং শাড়ি বিক্রি করছেন। বিবিধ অনুষ্ঠান অনুযায়ী কেনাকাটায় নানা ছাড়ও দেওয়া হয়। সেখান থেকেই সম্প্রতি একটি বোমকাই শাড়ি কিনেছিলেন শতরূপা সান্যাল। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে নকল শাড়ি দেওয়া হয়েছে। পরিচালক তথা সমাজকর্মী সোশাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ পোস্টে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন কেয়া শেঠ ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে। ঋতাভরী-চিত্রাঙ্গদার মায়ের সেই পোস্ট নিয়েই আপাতত শোরগোল নেটপাড়ায়। পালটা একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করে জবাব ছুঁড়েছেন কেয়া শেঠ নিজেও।
শতরূপা সান্যাল ঠিক কী অভিযোগ তুলেছেন? তিনি লিখেছেন, “নানা কারণে মন ভালো নেই। শরীরটাও যেন বিদ্রোহ করছে। এর মধ্যে কেউ যখন বোকা বানিয়ে, ডাহা ঠকিয়ে যায়, তখন কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে পড়ে। এমনিতে আমি সারা বছরই যথেষ্ট অনলাইন কেনাকাটা করি। বিশেষত, আজকাল যেভাবে মেয়েরা শাড়ি জামা বা পোশাক-গয়না ইত্যাদির অনলাইন ব্যবসা করছেন, আমি শুধু তারিফই করিনা, কিনিও। তাদের প্রতি আমি খুবই আন্তরিক। দু-একবার যে ঠকিনি, তা নয়। খুব অল্প টাকার ক্ষতি হয়েছে, যা ধর্তব্যের নয়। এখন তাই যাদের চিনে গেছি, তাদের থেকেই কিনি। কিছু নামী-দামি কোম্পানির জিনিসও কিনেছি যথেষ্ট। পছন্দ না হলে ফেরতও দিয়েছি। তারা তাদের সুনাম রেখেছেন এখন অবধি! তাদের ব্যবহারও ভদ্রলোকের মত। অসুবিধে হল ‘কেয়া শেঠ এক্সক্লুসিভ’ নামক বিক্রেতাদের সঙ্গে। ‘সিল্ক বোমকাই’ বলে একটি নকল জিনিস চালিয়ে দিলেন তাঁরা, ডিসকাউন্টে প্রায় পাঁচহাজার টাকা দাম নিয়ে। এটার দাম হয়তো ১০০০ টাকাও হবে না। সুতরাং, কাস্টমার কেয়ারে তৎক্ষণাৎ জানালাম, এটা নকল, ফেরত দিতে চাই। তারা মেইলে ও ফোনে জানালো- ফেরত হয় না! বদলও হয় না! পলিসি তাদের এরকমই। লোক ঠকানোর কী নির্লজ্জ ধান্দা! আমার পুরো টাকাটাই জলে!”
ওই পোস্টেই শতরূপার সংযোজন, “অবশ্য, আমারও দোষ আছে বইকী! বহু বিজ্ঞাপিত ব্র্যান্ডকে একটুও না সন্দেহ করে জিনিস কেনা এবং এত বেশি ডিসকাউন্টের ব্যাপারটায় বিশ্বাস করা! নইলে, ওই টাকায় নকল বোমকাই তো মিলবে। কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে যে, সেটা কিন্তু বিক্রেতার আগেই জানিয়ে রাখার কথা। পুজোর সময় কম বেশি কেনাকাটি সকলেই করবে, জানা কথা। আমি শুধু তোমাদের সতর্ক করে দিলাম, এই বিক্রেতাদের সম্পর্কে। তোমরা অন্যদেরও সতর্ক করে দিও।” শতরূপার পোস্টে কেয়া শেঠের ব্যান্ডকে ট্যাগ করে অভিযোগ করেছেন চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তীও। সেই প্রেক্ষিতেই কেয়া শেঠ খোদ একটি ভিডিও বার্তায় পালটা কিছু অভিযোগ আনলেন।
কী বললেন কেয়া শেঠ? তাঁর পালটা অভিযোগ, সাইটেই শাড়ির বিবরণীতে উল্লেখ ছিল- ‘এটি আসল নয়’। অতঃপর সেটা না গেখে শাড়ি কেনা শতরূপারই ভুল। ওই ভিডিওতেই শতরূপাকন্যা তথা অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদাকে তাঁর পরামর্শ, ফেসবুকে কীভাবে ট্যাগ করতে হয় কিংবা কোনটা আসল-নকল শাড়ি, ইত্যাদি যেন তিনি মা শতরূপা সান্যালকে শিখিয়ে দেন। কেয়া শেঠের মন্তব্য, বছর খানেক আগে তাঁর কাছে শতরূপা এসেছিলেন সিনেমার চিত্রনাট্য নিয়ে গল্প শোনাতে, প্রযোজক হওয়ার জন্য অনুরোধ নিয়ে। তাই শতরূপার কাছে তাঁর ফোন নম্বর আছে। তাও তাঁকে সরাসরি ফোন না করে, এভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘কুৎসা’ রটানো তাঁর ব্র্যান্ডের ভাবমূর্তির ক্ষতি করা। সেই সঙ্গে কেয়া এও জানিয়ে দেন যে, যদি না তাঁর ব্র্যান্ডের প্রোডাক্টে কোনও ছেড়াফাটা থাকে, তাহলে ফেরত নেওয়া হয় না। তবুও দুই তরফে মেইল চালাচালির পর, প্রস্তাব জানানো হয়েছিল যে শোরুমে এসে শাড়ি বদলে নিয়ে যাওয়ার। এর মাঝেই যে শতরূপার তরফে এহেন ফেসবুক পোস্ট আসতে পারে, সেটা তিনি আশা করেননি বলেই জানান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.