শম্পালী মৌলিক: ২৩ এপ্রিল। আজ তাঁর প্রয়াণ দিবস। কিন্তু তিনি নেই, এ তো হতে পারে না! তিনি রয়ে গিয়েছেন তাঁর লেখায়, ছবিতে, সিনেমায়, সুরের মূর্ছনায়। সত্যজিৎ রায়ের ২৮তম প্রয়াণদিবসেও তিনি আমাদের জীবনজুড়ে। এই করোনা আতঙ্কিত বিশ্বে, লকডাউনের বিষণ্ণ দিনে যে ছবিগুলোর কাছে বারবার ফিরতে ইচ্ছা করে, যেগুলো কোনওদিন পুরনো হয় না, সেগুলো বেশিরভাগই তাঁর সৃষ্টি। এখনও ‘অশনি সংকেত’, ‘পথের পাঁচালী’, ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘সোনার কেল্লা’, ‘আগন্তুক’, ‘নায়ক’, ‘দেবী’র মতো সিনেমায় বারবার আকর্ষিত হই আমরা।
বৃহস্পতিবার, টেলিফোনে সন্দীপ রায় জানালেন, “লকডাউন না থাকলে হয়তো এদিন সন্ধ্য়ায় নিকট আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বাড়িতে আসতেন। ২৮ বছর হল বাবা চলে গিয়েছেন। মৃত্যুদিনে সেরকম কেউ বড় একটা আসে না। মানে জন্মদিনে যেমন হয়, তেমনটা এদিন হয় না। এই বছর উনি ১০০ বছরে পড়ছেন। কাজেই বিশেষ কিছু কিছু পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সেসব ভন্ডুল হয়ে গেল। এখন যে কী হবে, কেউ আমরা জানি না। আজকের দিনে অন্য সময় হলে বাড়িতেই ছোটখাট সমাবেশ মতো হত। সে হল না। আর কী করা যাবে!” সত্যজিৎ রায় থাকলে করোনা ভাইরাসের রহস্যভেদে কাকে প্রেফার করতেন? সন্দীপ রায়ের সহস্য উত্তর, “শঙ্কুরই অ্যাক্টিভ থাকা উচিত। যদি ল্যাবরেটরিতে কিছু করা যায়! যদি মিরাকিউব়্যালের থেকে আরও কড়া কিছু বের করা যায়!”
এই লকডাউন কীভাবে কাটাচ্ছেন? পরিচালক সন্দীপ রায়কে কিছুটা নস্ট্যালজিক শোনাল, ‘অনেকদিন বাবার ঘরটা গোছগাছ করা হয়নি। এবার কিছু কাজ এগোচ্ছি। প্রায় অখণ্ড অবসর তো। কিছু পুরনো চিঠিপত্র, পুরনো ছবি, নেগেটিভ ইত্যাদি খুঁজে পাচ্ছি। রোজই আমি খুঁজে চলেছি। বাবার ঘরটা একটু সিস্টেমে আনছি। যেহেতু এবার ১০০ বছর। সবকিছু ঠিকঠাক মিটে গেলে বইটই বের করার পরিকল্পনা রয়েছে। দেখা যাক, বাড়িতে থেকে যতটা কাজ এগনো যায়।’ করোনা-কবলিত বিশ্বে এখন মৃত্যুমিছিল। সেই কালো ছায়া কোথাও যেন ২৩ এপ্রিল দিনটাকে ছুঁয়ে ফেলল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.