ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: অবশেষে স্বস্তি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সন্ধ্যা রায় (Sandhya Roy)। আচমকাই বুকে সমস্যা হওয়ায় বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এখন অনেকটাই ভালো আছেন তিনি। সেই কারণেই অভিনেত্রীকে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বুকে অস্বস্তি বোধ করছিলেন। সঙ্গে নাকি শ্বাসকষ্টও ছিল। সেই কারণেই কলকাতার এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সন্ধ্যা রায়কে। গত সোমবার প্রবীণ অভিনেত্রীর অসুস্থতার খবর প্রকাশ্যে আসে। পরে শোনা যায়, তার আগের শনিবারই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রেশারের সমস্যা রয়েছে অভিনেত্রীর। উচ্চরক্তচাপ বড় চিন্তার কারণ ছিল। এর দোসর হিসেবে আবার সুগারও রয়েছে।
ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি ও রক্ত-সহ বেশ কয়েকটি শারীরিক পরীক্ষা করা হয় সন্ধ্যা রায়ের। অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের একটা টিম তাঁকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন। শুক্রবার হুইলচেয়ারে করে অভিনেত্রীকে বাড়ির পথে রওনা করে দেন চিকিৎসক পিকে মিত্র (ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি), ডা, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (ডেপুটি সুপার), ডা. সুস্মিতা দেবনাথ (ক্রিটিকাল কেয়ার)।
নবদ্বীপে জন্ম সন্ধ্যা রায়ের। অভিনেত্রীর জন্মের কিছুদিন পর বাংলাদেশ চলে গিয়েছিল তাঁর পরিবার। পরে ১৯৫৭ সালে ভারতে ফেরেন সন্ধ্যা রায় ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সিনেমার জগতে তাঁর প্রবেশ ছয়ের দশকে। ‘মায়া মৃগ’, ‘পলাতক’, ‘গণদেবতা’, ‘বাঘিনী’, ‘অশনী সংকেত’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভ্রান্তিবিলাস’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘ঠগিনী’, ‘রাহগির’, ‘নবাব’, ‘সত্য মিথ্যা’ ‘বাবা তারকনাথ’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। আটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রথমসারির অভিনেত্রী হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন সন্ধ্যা রায়। তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘গণদেবতা’ সিনেমায় অভিনয় করার জন্য পেয়েছিলেন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। BFJA এবং কালাকার অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন সন্ধ্যা রায়। ভোটে জিতে মেদিনীপুরের সাংসদ হন তিনি। প্রবীণ তারকার বাড়ি ফেরার খবরে খুশি তাঁর অনুরাগীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.