সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সালটা ১৯৯৮। সেই সময়ে রাজস্থানের কঙ্কানি গ্রামে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ান সলমন খান। বলিউড সুপারস্টারের বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে। সেইসময়ে ভাইজানের সঙ্গে শুটে ছিলেন সইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে, তাব্বু, নীলম-সহ আরও অনেকে। দু দশক আগের সেই ঘটনার পর থেকেই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় সলমন(Salman Khan)। তবে ভাইজান নাকি কৃষ্ণসার হরিণের দিকে গুলি ছোড়েননি! আসল হত্যাকারী অন্য কেউ! তাহলে কার অপরাধের মাশুল গুনছেন সলমন?
সম্প্রতি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের বাড়বাড়ন্তের মাঝে ভাইরাল বলিউড সুপারস্টারের পুরনো ভিডিও। যেখানে এক সাক্ষাৎকারে সলমন খান দাবি করেছিলেন এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কেউ রয়েছেন। ২০০৮ সালের সেই সাক্ষাৎসারে সঞ্চালকের প্রশ্নবাণের সামনে সলমন সরাসরি বলেছিলেন, “এর নেপথ্যে একটা লম্বা গল্প রয়েছে। ওই কৃষ্ণসার হরিণের দিকে কিন্তু গুলিটা আমি ছুঁড়িনি।” যে ঘটনার জন্য মামলা-মোকদ্দমার ফেরে আদালতে আদালতে ঘুরতে হয়েছেন তাঁকে। এত বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। এমনকী এই কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার পর থেকেই সলমনকে লাগাতার খুন করার হুমকি দিয়ে আসছে কুখ্যাত বিষ্ণোই গ্যাং। এত কিছুর পরও তাহলে কেন আসল অপরাধীর নাম প্রকাশ্যে আনছেন না ভাইজান? সেপ্রসঙ্গে অবলীলাক্রমে সুপারস্টারের উত্তর, “কোনও লাভ নেই।”
সম্প্রতি ২০০৮ সালের সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় অনুরাগীরা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন যে, “কাকে আড়াল করতে চাইছেন ভাইজান? এবং কেনই বা করছেন?” আবার তাঁদের একাংশের কথায়, “সলমন মনের দিক থেকে খুবই ভালো। নির্দোষ। কিন্তু কোনও কারণে হয়তো সব দোষ নিজের ঘাড়ে নিয়ে মাশুল গুনছেন।”
View this post on Instagram
সারাজীবন কি এভাবে প্রাণভয় বয়ে বেড়াতে হবে তাঁকে? কী করলে বিষ্ণোইদের থেকে মুক্তি পাবেন সলমন খান? নিদান দিল রাজস্থানের সেই বিষ্ণোই সম্প্রদায়ই। যাঁরা কৃষ্ণসার হরিণকে দেবতাজ্ঞানে পুজো করেন। বিষ্ণোইরা মনে করেন, কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করে গর্হিত অপরাধ করেছেন সলমন। যা কিনা বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের আচারবিধির বিরুদ্ধাচরণ। ‘অল ইন্ডিয়া বিষ্ণোই সমাজ’-এর সম্পাদক হনুমানরাম বিষ্ণোইয়ের নিদান, বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের থেকে ক্ষমা পেতে হলে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই রাজস্থানের বিকানিরে অবস্থিত মুক্তিধাম মুকামে যেতে হবে। নির্ধারিত পদ্ধতিতে ক্ষমা চাওয়া হলে, সেটা গ্রহণযোগ্য হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে যাচাই করেন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের সদস্যরা। এদিকে সলমনের বাবা সেলিম খানের মন্তব্য, যে ছেলে ছোট থেকে আজ পর্যন্ত কোনওদিন একটা আরশোলা পর্যন্ত মারতে পারেনি, সে কীভাবে হরিণ মারবে? তাই ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.