সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে জারি হয়েছে লকডাউন। তাই এর মধ্যে প্রত্যেককে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিচ্ছে পুলিশ ও প্রশাসন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হলে শাস্তি। এমনকী সেলিব্রিটিরাও লকডাউনে বাড়ির বাইরে না বের হওয়ার কথা বলছেন। এই নিয়ে একটা গানও বেঁধেছেন সলমন। আর তাঁর বাবা সেলিম খানই কি না রোজ বাড়ির সকালে বাইরে বাইরে বেরোচ্ছেন!
নিয়ম করে প্রতিদিন ভোর বেলা বাড়ির সামনের রাস্তায় টহল দিচ্ছেন সেলিম খান। কেন? ৮৪ বছর বয়সী এই চিত্রনাট্যকার জানিয়েছেন, ডাক্তারের পরামর্শ। তাঁকে রোজ সকালে হাঁটতে বেরোতে হয়। স্বেচ্ছায় তিনি বের হচ্ছেন, এমন নয় মোটেই। তাঁকে তাঁর চিকিৎসক জানিয়েছেন, ৪০ বছর টানা প্রাতঃভ্রমণ করেন সেলিম খান। এখন আচমকা তা বন্ধ করে দিলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন তিনি। তাই রুটিনে দাঁড়ি টানা যাবে না। লকডাউনের মধ্যেও তাঁকে বাড়ির বাইরে বের হতে হবে। নাহলে পিঠের ব্যথা আবার চাগাড় দিয়ে উঠবে। সেটা তো আর তিনি হতে দিতে পারেন না। তাই নিয়ম করে লকডাউনের মধ্যেও রোজ রাস্তায় বেরোচ্ছেন। হাঁটছেন। তবে সবরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েই তিনি বেরোচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সেলিম। বলেছেন, সরকারের থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাইরে বের হওয়ার জন্য পাস ইস্যু করেছিলেন তিনি। প্রাতঃভ্রমণের জন্য এত কাণ্ড। মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে তাঁকে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কিন্তু সেলিমের এই বক্তব্যের পর নেটদুনিয়ায় শুরু হয়েছে সমালোচনার বন্যা। নেটিজেনদের প্রশ্ন, শুধু কি সেলিম খানই অসুস্থ হতে পারেন? বাকি যাঁরা প্রাতঃভ্রমণ করেন, বেশিরভাগেরই তো কিছু না কিছু সমস্যা আছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই সকালে হাঁটতে বের হন তাঁরাও। তাহলে তাঁদের কেন ‘মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে’ ছাড় দেওয়া হবে না? সেলিম খান সেলিব্রিটি বলেই তিনি ছাড় পাবেন, আর বাকিরা পাবেন না। তা তো হয় না! অনেকে এনিয়ে বৈষম্যের অভিযোহ তুলেছেন। যদিও এসবে পাত্তা দিতে নারাজ সলমনের বাবা। তিনি জানিয়েছেন, তিনি সেলিব্রিটি বলেই তিনি কী করছেন, না করছেন, তার দিকে সবার নজর। অনেকেই তো সকালে তাঁদের পোষ্যদের নিয়ে হাঁটতে বের হন। তাঁদের তো কেউ প্রশ্ন করেন না? যদিও এতে সমালোচনা কমেনি। একজন সেলিব্রিটি হিসেবে তাঁর দায়বদ্ধতা অনেক। সেসব তিনি কীভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন, সেই প্রশ্ন তোলেন নেটিজেনরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.