সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেওরকে নিজের ছোট ভাইয়ের মতোই স্নেহ করতেন। তাই তো তাঁকে কিডনি দেওয়ার আগে দ্বিতীয়বার চিন্তা না করেননি। হ্যাঁ, সম্প্রতি এমন সত্যিই সামনে এল। এখানে দেওর প্রয়াত মিউজিক কম্পোজার ওয়াজিদ খান (Wajid Khan)। এবং কিডনি দাতা হলেন তাঁর ভাই সাজিদ খানের স্ত্রী লুবনা।
সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলের এক রিয়ালিটি শোয়ে প্রয়াত ওয়াজিদ খানকে নিয়ে স্পেশ্যাল একটি পর্বের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই সামনে এল এই ঘটনার কথা। সাজিদ ও ওয়াজিদের মা রাজিনই কথা প্রসঙ্গে নিজের পুত্রবধূর মানবিক রূপটি তুলে ধরেন। জানান, কীভাবে তাঁর ছোট ছেলের জন্য নিজের কিডনি দান করেছিলেন। তাও আবার সকলের অজান্তেই। আবেগপ্রবণ রাজিনের কথায়, “ওয়াজিদের কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন। প্রত্যেক আত্মীয়কে সেকথা জানিয়েছিলাম। সবার কাছ থেকেই সাহায্য চেয়েছিলাম। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। সেই সময়ই লুবনা আমাদের অজান্তেই সমস্ত শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে নিয়েছিল। যাতে ও কিডনি দিতে পারে। আজকের দিকে মা-বাবাই সন্তানের জন্য এতটা করে না। কিন্তু ও কিডনি দেওয়ার আগে দ্বিতীয়বার ভাবেনি।”
এ প্রসঙ্গে লুবনা বলেন, “যখন জানতে পারলাম যে কেউ ওকে (ওয়াজিদ) কিডনি দিতে পারবে, তখন আর কাউকে জিজ্ঞেস করিনি। চুপচাপ সমস্ত পরীক্ষা করিয়ে নিই। শেষ টেস্টের আগে ওয়াজিদকে জানিয়েছিলাম, সবকিছু ঠিক থাকলে কিডনি প্রতিস্থাপন করাব। আমার কথায় ভীষণ মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল ওয়াজিদের। কিন্তু আমি বোঝাই ও আমার জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।” সারাজীবন নিজের পরিবারের জন্য অনেক কিছু করেছে ওয়াজিদ। আর ওর সংকটের দিনই যদি পরিবার পাশে না থাকে, কীভাবে চলবে। দেওরকে কিডনি দিতে পারায় তাই খুশি লুবনা।
গত বছর করোনার সময়ই চিরবিদায় নিয়েছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় সুরকার। তার কয়েক মাস পরই ওয়াজিদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন স্ত্রী কমলরুখের। অকালপ্রয়াত জানিয়েছিলেন, তিনি পার্সি হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে জোর করে ধর্মান্তরিত হতে চাপ দেওয়া হয়েছিল। যদিও লুবনার কথায় পরিবারের ঐক্য ও পরস্পরের প্রতি ভালবাসার দিকটিই এবার প্রকাশ্যে এল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.