সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “নিজের হাতে করে নিয়ে এসেছিলাম, নিজের হাতে ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাব। এর অন্যথা কিছু হবে না”, লিখেছিলেন ফেসবুকে। আরও অনেক কথা জানিয়েছিলেন। সব কিছু ডিলিট করে দিয়েছিলেন শনিবার রাতে। রবিবার নিজের প্রোফাইলও ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিলেন সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)। যার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখতেন সেই মানুষটাই তো আর নেই।
ঐন্দ্রিলার জিয়নকাঠি ছিলেন সব্যসাচী। ‘ঝুমুর’ ধারাবাহিকে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন দু’জন। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব, তারপর এমন এক নিবিড় বাঁধন, যা ঐন্দ্রিলাকে প্রতি মুহূর্তে আগলে রেখেছিল। ভাল লেখেন সব্যসাচী। ‘দলছুটের কলম’, ‘ব্যাতাইপুকুরের বেত্তান্ত’র মতো বই রয়েছে তাঁর। সেই লেখাই তাঁর লড়াই, যন্ত্রণা ও আত্মবিশ্বাসের কাহিনি প্রতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছে। কিন্তু সেসব এখন আর নেই। সমস্ত স্মৃতি মুছে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ত্যাগ করলেন সব্যসাচী।
সব্যসাচীর এই লড়াইয়ে তাঁর পাশে ছিলেন বন্ধু সৌরভ দাস (Saurav Das)। ফেসবুকে সৌরভ লেখেন, “ঐন্দ্রিলা জিতে গিয়েছে। ও এর থেকে অনেক ভাল জায়গা আর মানুষজনের (সবার কথা বলছি না) সঙ্গ ও ডিজার্ভ করে। ও ভাল আছে আর অনেক শান্তিতে আছে। মিষ্টি আমরা তোকে খুব ভালবাসি। আমি তোর সব্যর আর আমার ভাইয়ের খেয়াল রাখব। দয়া করে কেউ সব্যসাচীকে ফোন করবেন না। এটা সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের কাছে আমার প্রার্থনা। আপনারা কোনও প্রয়োজনে আমায় ফোন বা মেসেজ করতে পারেন। আর এই লড়াইয়ে সঙ্গে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। “
এ বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবার সৌরভ জানিয়েছেন, ঐন্দ্রিলাকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন সব্যসাচী। শোকে বিহ্বল অভিনেত্রীর পরিবারের সদস্যরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে আর কখনও কিছু লিখবেন না সব্যসাচী। কারণ যে মানুষটার কথাতে তিনি লিখতে শুরু করেছিলেন, সেই মিষ্টি অর্থাৎ ঐন্দ্রিলাই আর নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.