সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও শারীরিক সমস্যা নেই। গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র কার্যত মিলে গেল জোকা ইএসআই হাসপাতালের (Joka ESI Hospital) চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে। ঘণ্টা দুয়েক ধরে তাঁকে খুঁটিনাটি পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানিয়ে দিলেন, কোনও শারীরিক সমস্যা নেই অনুব্রত মণ্ডলের। এরপরই হাসপাতাল থেকে বের করা হয় তাঁকে। পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। সেখান থেকে দিল্লি যাওয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ চলবে বলে ইডি (ED) সূত্রে খবর।
শারীরিক অসুস্থতার দোহাই দিয়েও দিল্লি যাত্রা থেকে রেহাই মিলল না অনুব্রত মণ্ডলের। মঙ্গলবার আসানসোল সংশোধনাগার থেকে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য। এর আগে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi HC) ইডি জানিয়েছিল, কেন্দ্রের অধীনস্ত কোনও হাসপাতাল তাঁকে ফিট সার্টিফিকেট দিলেই দিল্লি নিয়ে যেতে আর বাধা নেই। আর ঠিক এই সময়ই অনুব্রতকে কটাক্ষ করে ফের ছড়া আওড়ালেন রুদ্রনীল ঘোষ। ফেসবুকে পোস্ট করলেন, ‘অনুমাধব ৩’।
রুদ্রনীলের নতুন অনুমাধবে উঠে এল অনুব্রতর দিল্লি যাত্রার গল্প। যেমন, ”অনুমাধব অনুমাধব চললে মামার বাড়ি, দোলের দিনে খেললে না রং, তোমার সঙ্গে আড়ি… তোমার পাপের সঙ্গী যাঁরা বিদায়বেলায় এসে, মনখারাপের পিচকিরিতে রং ভরেছে ঠেসে…গুড়, বাতাসায় পিঁপড়ে এখন নকুলদানায় মাছি…মুখ ফুটে কেউ বলছে না আর, তোমার পাশে আছি…!” এই ছড়া পোস্ট করে রুদ্রনীল লিখলেন, সবাইকে দোলের শুভেচ্ছা,”অনুমাধব ৩, সবাইকে দোলযাত্রার শুভেচ্ছা
অনুদাকে দিল্লি যাত্রার শুভেচ্ছা।”
এই প্রথম নয়, এর আগে অনুব্রত গ্রেপ্তার হওয়ার পর ছড়া বেঁধেছিলেন রুদ্র। এবার সেই অনুমাধব ছড়াকেই আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন তিনি।
অনুব্রতকে ইঙ্গিত করে রুদ্রনীলের এই ছড়ার পালটা দিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রুদ্রকে কটাক্ষ করে তিনিও বাঁধলেন ছড়া।
”শিল্প ভাল, শিল্পী ভাল, ভাল অভিনয়।
সব সুবিধে ভোগের পর, বিবেক সাজতে হয়।
যতদিন চেয়ার, বেতন, ততদিন সুরে তাঁরা
ধান্দা করে আজ বিজেপি, দল বদলু যাঁরা।
দেখতে শুনতে মজাই লাগে, হাসিও পেয়ে যায়
এতদিনেও বুঝল না এরা, এই বাংলার রায়।”
প্রসঙ্গত, নানা সময়, নানা কাণ্ড নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করে কবিতা পাঠ করেছেন রুদ্রনীল। কয়েকদিন আগেও ২১ জুলাই এবং অর্পিতা ও পার্থ ইস্যুতে কবিতা পাঠ করেছিলেন তিনি। সেই কবিতায় উঠে এসেছিল, ”২১ জুলাই মঞ্চ থেকে বেচল দিদি মুড়ি, ২২ জুলাই অর্পিতাদের ফ্ল্যাটে কোটি কুড়ি। মুড়ি বেচার টাকা নাকি চাকরি চুরির টাকা, বলি ও দিদিভাই জবাব তো দিন, মালিক তো আপনি একা। ২০ কোটির নোটের পাহাড় দেখল বঙ্গবাসী, অর্পিতাদের উন্নয়নে আমার দিদি খুশি, তৃণমূলের দুর্গাপুজোয় অর্পিতারাই মুখ, নেতার কাছের মানুষ হলেই পাবে অপার সুখ…লজ্জা, ঘেন্না, শিকেয় তুলে লুটছে অবিরত…”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.