সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে শহরে বারবার ফুটে উঠছে অমানবিক চিত্র। কেউ টাকার অভাবে ‘ডিপোজিট মানি’ দিতে না পারায় হাসপাতালের বেড পাচ্ছেন না, তো আবার কোনও করোনা রোগীর হাসাপাতালের খরচ দেখে চক্ষু চড়কগাছ হচ্ছে! এই দুঃসময়ে যখন একে অপরের প্রতি ভরসা-বিশ্বাসটুকু রাখার দরকার, প্রয়োজন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার তখনই কিনা অতিরিক্ত বিল ফেঁদে টাকার খেলায় মেতেছে বেসরকারি হাসপাতালগুলো? খুবই অমানবিক! বলছেন নেটজনতারা। বেসরকারি হাসপাতালের এই বিল-বাড়ন্তের দৌরাত্ম্য নিয়েই এবার মুখ খুললেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। কড়া ভাষায় বিঁধে হাসপাতালগুলিকে ‘রক্তচোষা’ বলে কটাক্ষ করলেন।
করোনা চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলি যে আকাশ ছোঁয়া বিল ফেঁদে বসছে, তা আর কারও অজানা নয়। যা মেটাতে গিয়ে প্রায় নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। উপরন্তু রোগী ‘রেফার’ করার চক্রে পড়ে হয়রানির শিকারও হতে হচ্ছে! দিন কয়েক আগেই সরকারি হাসপাতালের রেফার কাণ্ডের জন্য প্রাণ গিয়েছে দুই রোগীর। উপরন্তু দিনের পর দিন করোনা চিকিৎসার জন্য মাত্রাতিরিক্ত বিলের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালগুলো, এধরনের বিভিন্ন ঘটনা চতুর্দিক থেকেই শোনা যাচ্ছে বর্তমানে। রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে, কোনও রং নির্বাচন না করে একেবারে সাধারণ মানুষদের জন্যই সেসব বিষয় নিয়ে প্রতিবাদে সরব হলেন রুদ্রনীল ঘোষ।
কোনওরকম রাখঢাক না করে স্পষ্ট বললেন, “হয়তো একদিন কিছু মানুষ, ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে দলমত জাতধর্ম ভুলে কিছু রক্তচোষা বেসরকারি হাসপাতাল ভাঙবে। মালিকরা নিজের হাসপাতালে ভরতিরও সময় পাবেন না! কাঠের বদলে তার লুঠের টাকা দিয়েই তাকে দাহ করা হবে ধাপার মাঠে! ঘিয়ের বদলে তার শরীরে ছড়ানো হবে থুতুর আতর। গঙ্গার বদলে তার নাভি ভাসানো হবে দুর্গন্ধের ড্রেনে…। ঠিক সেই মুহূর্তে, স্বজন হারানো লুন্ঠিত বিপর্যস্ত গরীব ও মধ্যবিত্তেরা হাওয়ায় ছুঁড়ে দেবেন উলুধ্বনির ভ্যাকসিন। তাদের চোখের আগুনে লজ্জা পাবে ভলক্যানোর লাভা! মহাকাল লিখবেন বাকি ইতিহাস।”
এই কঠিন পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্ন মধ্যবিত্তদরে নাভিশ্বাস ওঠার কথা আগেও শোনা গিয়েছে রুদ্রনীলের গলায়। কেন বারবার টাকা-পয়সার কাছে ‘মানবিকতাবোধ’ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াচ্ছে? সমাজকে সেই প্রশ্নের মুখেই আবার দাঁড় করালেন অভিনেতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.