সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে যখন ‘রাতের দখল’ নিয়েছিল মেয়েরা, অন্যদিকে আর জি করে চূড়ান্ত তাণ্ডব। গভীর রাতে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। কার্যত বহিরাগতদের দখলে চলে যায় ক্যাম্পাস। ভাঙচুর, মারধর চলতে থাকে। যাদবপুর থানা ভাঙচুরের চেষ্টা হয়েছে বলেও জানান সোহিনী সরকার। অভিনেত্রী জানান, তাঁদের আন্দোলনের সমর্থকরা মোটেও একাজ করেননি। এর নেপথ্যে বহিরাগত রয়েছে বলেই অভিযোগ তাঁর। এদিকে ফেসবুকের মাধ্যমে ঋত্বিক চক্রবর্তীর সওয়াল, “ভয়-মুক্ত জণগণ দেখলে শাসকরা ভয় পায় কেন?”
কাতারে কাতারে মানুষ রাস্তায়। কোলের শিশুকন্যা, তরুণী, বাড়ি বউমা, শাশুড়ি, দিদা, মা, কাকিমা, জেঠিমা, কেউ বাদ ছিল না। ১৪ আগস্টের রাতে তিলোত্তমার বুকে প্রতিবাদের জনপ্লাবণ দেখা গিয়েছে। অরিন্দম শীল, শুভশ্রী মুখোপাধ্যায়, পার্ণো মিত্র, সোহিনী সরকাররা ছিলেন যাদবপুরে। ভোররাতে সেখান থেকেই পতিক্রিয়া দেন সোহিনী।
অভিনেত্রী জানান, যাঁরা ‘মেয়েদের রাত দখল’ অভিযানের সঙ্গে যুক্ত। যাঁরা এর সমর্থন করেছেন তাঁদের নামে প্রচুর জায়গায় ভাঙচুর হয়েছে। সোহিনীর দাবি, “আমাদের আন্দোলনের লোকজন এটা করেনি। কোনওদিনও করতে পারে না। তাঁদের নাম করে কিছু বাইরের লোক…যেটা আজকে (বৃহস্পতিবার ভোররাতে) আমরা এখানে এসে আটকেছিলাম। যাদবপুর থানা ভাঙচুরের চেষ্টা হয়েছে। আমরা এগুলোকে সমর্থন করি না।”
View this post on Instagram
এদিকে আর জি কর হাসপাতালে তাণ্ডবের প্রায় ৬০টি ছবি ছবি সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে কলকাতা পুলিশ। সেখানে একাধিককে চিহ্নিত করা রয়েছে। অভিযোগ, বুধবার রাতের তাণ্ডবে জড়িত তারাই। পুলিশের আর্জি ওই চিহ্নত করা যুবক-যুবতীরা যদি কারও চেনা-পরিচিত হয়ে থাকে তাদের অবিলম্বে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.