সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কী রে কটা জামা হল?… আচ্ছা তুই না অষ্টমীতে আমার ঝুমকো জোড়া পরে অঞ্জলি দিবি বলেছিলি!… ঠাম্মা তো বলেছিল নাড়ুর বয়ামটা যত্ন করে তুলে রাখতে, তুলেছিস তো?.. হ্যাঁ রে, নবমীর দুপুরে কিন্তু পিসির বাড়িতে জমিয়ে আড্ডা হচ্ছে। মনে আছে তো, নাকি বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে প্ল্যান করে ফেলেছিস? তারপর তো দু’বোন মিলে শারদ-সকালে শিউলি কুড়নো। সন্ধিপুজোর জন্য একশ আটটা পদ্ম সাজানো, শাড়ি জড়িয়ে ধুনুচি নাচ প্র্যাকটিস.. সে সবই এখন নস্ট্যালজিয়ার ফ্রেমে সযত্নে সাজানো। এখন তো দূরদেশে বসে শুধুই স্মৃতিচারণ। “মা আসছেন, তুই কোথায়? এবারের পুজোয় বাড়ি আয় প্লিজ!” শব্দগুলো এখন বড় চেনা হয়ে গিয়েছে। আর সেই চেনা শব্দগুলোকে পাথেয় করেই আরও একবার নস্ট্যালজিয়ার সরণিতে হাঁটা গেল পাওলি-ঋতাভরীর হাত ধরে।
পুজো মানেই পাড়ার প্যান্ডেলে জমিয়ে আড্ডা দেওয়া, পাট ভাঙা শাড়ি কোমরে জড়িয়ে দু’হাতে খিচুড়ির বালতি নিয়ে ছোটাছুটি। গোপনেই মায়ের নারকেলবালা জোড়া হাইজ্যাক করা। জিজ্ঞেস করার কোনও বালাই নেই! ফুচকা-রোল-বিরিয়ানিতে জমিয়ে পেটপুজো। আর শেষপাতে আইসক্রিম, দিব্যি চলবে। ওসব ক্যালোরি-ফ্যালোরির পরোয়া কে করে! পুজোর স্মৃতিগুলো আসলে বড়ই মধুর। কিন্তু এখন? কাজের জন্য বাইরে থাকা। বিদেশ-বিভুঁইয়ে বসে মনে মনেই পুজোর কলকাতার অলি-গলিতে চারন করা। কথা ছিল পুজোয় বাড়ি ফিরব। তবে স্বজন-সুজন সকলকে ছেড়ে আপনি অন্য দেশে। অতঃপর ভাইবোন, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে জমিয়ে মজা করার প্ল্যান সব বালিশের তলায় রেখে ঘুমোতে যাওয়া। তাই তো?
পুজো আসলেই আসলে আমাদের মন কেমন করে। মন কেমন করে বাড়ির জন্য। কাছের মানুষগুলোর জন্য। যারা নিজের দেশ ছেড়ে বাইরে থাকছেন। সেখানেও তো একটা সংসার সামলাতে হয় নাকি তাকে! নিজের সংসার। অফিস-কাছারি সামলে, হাত পুড়িয়ে খাবার বানিয়ে যখন ডাইনিং টেবিলে রাতের খাবার খেতে বসা, সারাদিনের ক্লান্তির পর আর কেউ তখন আদর করে কাছে এসে বলার থাকে না, ‘খাবারটা খেয়ে নেয়ে রে’। সেসব দুর্গাদের জন্যই এক অনন্য প্রয়াস অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী, পাওলি দাম এবং নৃত্যশিল্পী তনুশ্রী শংকরের।
“মা আসছেন। তুই কোথায়? ফিরে আয় প্লিজ, কলকাতায়”… এই আদর মাখা শব্দগুলো সেসব মায়েদের হয়েই বলা, যারা তাঁদের মেয়েকে পুজোয় মিস করছেন, কিংবা করবেন। ঋতাভরীর কথায়, “এই ভিডিওটা সব আসল দুর্গাদের উদ্দেশ্যে, যারা এই পুজোয় কলকাতা থেকে অনেক দূরে। কোনও উৎসবই বাড়ির দুর্গাদের ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না।”
ঋতাভরী চক্রবর্তীর ওয়াল থেকে সেই ভিডিও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.