Advertisement
Advertisement

Breaking News

ঋষি কাপুর

বাবাকে শেষবারের জন্য দেখতে গাড়িতে ১৪০০ কিমি পাড়ি ঋষিকন্যার

লকডাউনের জন্য বিশেষ অনুমতি নিয়ে দিল্লি থেকে মুম্বই পাড়ি ঋদ্ধিমা কাপুরের।

Rishi Kapoor's daughter has been given permission to travel by road
Published by: Sayani Sen
  • Posted:April 30, 2020 3:21 pm
  • Updated:April 30, 2020 3:32 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চূড়ান্ত অসুস্থ বাবা, ফোনেই মিলেছিল সেই খবর। তারপর থেকেই মন ছটফট। বারবার মনে হয়েছে এক ছুটে গিয়ে বাবার সঙ্গে দেখা করে আসি। কিন্তু লকডাউন চলছে। তাই দেখা করার কোনও গতি নেই। বাধ্য হয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তার মাঝেই এল দুঃসংবাদ। জানা গেল, ইহজগতের মায়া কাটিয়ে অমৃতলোকের পথে পাড়ি দিয়েছেন বাবা ঋষি কাপুর। দিল্লি থেকে মুম্বইয়ে যাওয়ার জন্য মিলল অনুমতিও। বাবাকে শেষবারের জন্য দেখতে গাড়িতে চড়ে ১৪০০ কিলোমিটার পাড়ি দিলেন অভিনেতার মেয়ে ঋদ্ধিমা কাপুর।  

ঋষি কাপুরের মেয়ে বছর উনচল্লিশের ঋদ্ধিমা কাপুর সাহানি। এক বিরাট ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। আপাতত দিল্লিতেই রয়েছেন তিনি। বাবার অসুস্থতার খবর পাওয়ামাত্রই প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঋদ্ধিমা। চার্টাড বিমানে করে মুম্বইয়ে যাওয়া যায় কি না, সে কথা জানতে চান। তবে লকডাউনের মাঝে তা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। তিনি চাইলে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে দিল্লি থেকে মুম্বই যেতে পারেন বলে জানানো হয়। সেই অনুযায়ী ব্যক্তিগত গাড়িতে করে প্রায় ১৪০০ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে বাবার শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ঋষিকন্যা ঋদ্ধিমা। দিল্লির পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই তিনি অনুমতি পেয়েছেন। গত রাতেই সব ব্যবস্থাপনা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে ১৮ ঘণ্টার মতো সময় লাগবে তাঁর।”

Advertisement

Riddhima-Kapoor

[আরও পড়ুন: ‘সেটে একটু বকাঝকা করতেন’, ঋষি কাপুরের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা জানালেন পরিচালক শিলাদিত্য]

বাবার মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছেন মেয়ে। দিল্লি থেকে মুম্বই আসার পথে ইনস্টাগ্রামে বাবাকে শেষশ্রদ্ধা জানান তিনি। লেখেন, “বাবা আমি সবসময় তোমাকে ভালবাসি। আমার শক্তিশালী যোদ্ধার আত্মার শান্তি কামনা করি। আর কখনও তোমাকে ভিডিও কলে দেখতে পাব না। তোমার জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে।” ঋষি কাপুরের পরিবারের অন্যান্যদের মানসিক পরিস্থিতিও ঠিক একইরকম। ২০১৮ থেকে ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল তাঁর। নিজেকে সুস্থ করে তোলার জন্য কখনও বিদেশে চিকিৎসা করাতে গিয়েছেন। আবার কখনও বা মুম্বইয়েরই হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন। তবে বারবার কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন। তবে এবার আর পারলেন না। ইরফান খানের মৃত্যুর ধাক্কার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও নক্ষত্রপতন মানতে পারছে না বলিমহল।

[আরও পড়ুন: ‘চোখের জলে নয়, খুশি মনে বিদায় জানান চিন্টুকে’, ব্যক্তিগত শোকের মাঝেই বার্তা কাপুরদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement