Advertisement
Advertisement
Rhea Chakraborty News in Bengali

NDPS আইনের একাধিক ধারায় মামলা দায়ের, কী শাস্তি হতে পারে রিয়া চক্রবর্তীর?

কোন আইনে কতটা শাস্তি ভুগতে হতে পারে রিয়াকে, এর পরিণামই বা কী? জানুন।

Rhea Chakraborty News in Bengali: Read Latest Rhea Chakraborty Bangla News, Breaking News – Sangbad Pratidin
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:September 9, 2020 9:20 am
  • Updated:September 10, 2020 5:05 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাগাতার জেরার পর মঙ্গলবার রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। আগামী ১৪ দিনের জন্য বাইকুলা জেলই তাঁর ঠিকানা। যা নিয়ে গোটা দেশ আপাতত উত্তাল। তবে, দ্বিমতও যে নেই, তা নয়! সুশান্ত মৃত্যু মামলার তদন্তে কিনা মাদকচক্রের জেরে গ্রেপ্তার হতে হল অভিনেত্রীকে! এ কোথাকার ন্যায়? প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। NDPS আইনের একাধিক ধারায়- ২৭এ, ২১, ২২, ২৯, ২৮ ধারায় রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কোন আইনে, কোন ধারা গ্রেপ্তার হতে হল অভিনেত্রীকে? এতে রিয়া চক্রবর্তীর কী ধরনের শাস্তিই বা হতে পারে? এই মুহূর্তে এরকম একাধিক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে কৌতূহলী জনতার মাথায়। সেই বিষয়টিই আরেকটু স্পষ্ট করে দেওয়া যাক।

Advertisement

ভারতে NDPS অর্থাৎ নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (Narcotic Drugs & phsycotropic substances) চালু হয়েছিল ১৯৮৫ সালে। সংসদে বিল পাশ হওয়ার পর তাতে স্বাক্ষর করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জ্ঞানী জৈল সিং। তবে এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, দেশে সাতের দশকের শেষ থেকে মাদক দ্রব্য উৎপাদন ও বেআইনি লেনদেনের রমরমা থাকার জন্যই তৎকালীন সরকার এই ধরনের কঠোর আইন বলবৎ করে।

[আরও পড়ুন: সুশান্ত মামলায় আগামী ১৪ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রিয়া চক্রবর্তী]

এবার দেখে নেওয়া যাক আইনের কোন ধারায় কীরকম শাস্তি হতে পারে?

NDPS আইনের ২১ নম্বর ধারায় উল্লেখ, কোনও ব্যক্তির কাছে বেআইনি মাদক দ্রব্য পাওয়া গেলে কিংবা বেআইনিভাবে লেনদেন ও উৎপাদন করতে দেখা গেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। মাদক বলতে- কোকেন, গাঁজা, চৌরস, হ্যাশ, আফিম থেকে তৈরি সবধরনের মাদকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে প্রাপ্ত মাদক দ্রব্যের পরিমাণের ভিত্তিতে শাস্তির বিধান দেওয়া হয়। অল্প পরিমাণে মাদক পাওয়া গেলে ৬ মাস পর্যন্ত জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। তবে মাদকের পরিমাণ বেশি হলে ১০ বছর পর্যন্ত জেল ও ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

২২ নম্বর ধারায় বিধান দেওয়া হয়েছে বাণিজ্যিক পরিমাণে মাদক মজুত ও কেনা-বেচা এবং পাচারের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে সশ্রম কারাদণ্ডের মেয়াদ হবে ন্যূনতম দশ বছর। যা বেড়ে সর্বোচ্চ কুড়ি বছর পর্যন্ত হতে পারে।

২৭এ ধারায় নারকোটিক ড্রাগ বা সাইকোট্রপিক জিনিস তথা কোকেন-মরফিন সেবনকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলা হয়েছে। জেল-জরিমানা দুইই হতে পারে।

অন্যদিকে ২৮ ও ২৯ নম্বর ধারায় মাদক সংক্রান্ত অপরাধে প্ররোচনা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: কাজের প্রতি নিষ্ঠা, ক্যানসার চিকিৎসার মাঝেই শুটিং ফ্লোরে সঞ্জয় দত্ত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement