সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রায় গোটা টলিউড সরব। পথে নেমেছেন টলিপাড়ার হুজ হুরা। তবে অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য রয়েছেন নীরব। তাঁকে দেখাও যায়নি কোনও মিছিলে। এর আগেও আরজি কর কাণ্ডে অনিবার্ণের অনুপস্থিতি ও নীরব থাকা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। আর এবার তাঁর স্ত্রী নাট্যবক্তিত্ব মধুরিমা গোস্বামী প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হতেই ফের নেটপাড়ায় অনির্বাণের খোঁজ!
ব্যাপারটা একটু বিশদে বলা যাক। বুধবার রাত ৮ টা নাগাদ সোশাল মিডিয়ায় একটি লাইভ করেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার-সহ বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষরা। সেই লাইভে ছিলেন মধুরিমাও। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ (RG Kar Protest) ১ সেপ্টেম্বর যে মহামিছিলের ডাক উঠেছে। সেখানে শামিল থাকবেন মধুরিমাও। সেই লাইভ দেখেই নেটপাড়ায় মধুরিমাকে নেটিজেনদের প্রশ্ন অনির্বাণ কোথায়?
আগামী পয়লা সেপ্টেম্বরের ‘মহামিছিল’-এর ১১ দফা দাবির কথাও জানানো হয়েছে এই ফেসবুক লাইভে। “আমরা তিলোত্তমা, আমাদের দাবি” শীর্ষক একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন সোশাল মিডিয়ায়।
ফেসবুক লাইভে সোহিনী এক নেটিজেনের প্রশ্নের সূত্র ধরে বলেন, “আমার মতে, কোনও শিল্পী যেকোনও রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাস করতেই পারেন। কিন্তু কোনও পদে যেতে পারেন না। কোনও শিল্পীর এই ২০২৪ সালে কোনও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা উচিতই নয়। পদ আর ক্ষমতা পেয়ে গেলে কেউই আর ঠিক থাকেন না। কারণ, আমি একা পদে নেই। আমার উপরে যিনি রয়েছেন তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত হলে তাঁর মতো করেই আমাকে কাজ করতে হবে। গদিতে এমন মোহমায়া রয়েছে, যে মানুষকে আর মানুষ থাকতে দেয় না। কোনও শিল্পীর রাজনৈতিক চেতনা থাকতেই পারে। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনও শিল্পীর পদে যাওয়াকে বিশ্বাস করি না। কেউ গেলেও তার বিরোধিতা করি।” তবে তারকাদের রাজনীতি যোগ নতুন কিছু নয়। পদে থাকার ঘটনাও চেনা প্রায় সকলেরই। কারণ, বিজেপি হোক কিংবা তৃণমূল – প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেই তারকাদের পদে থাকার বহু উদাহরণ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। ওই রাতেও মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয় তাঁর। তার পরই সব শেষ। পরদিন সকালে সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। এই ঘটনায় পুলিশের জালে ধরা পড়ে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তবে গত ১৩ আগস্ট থেকে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ঘটনার (RG Kar Incident) তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই ঘটনা সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে এখনও পর্যন্ত একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বেশ কয়েকজনের পলিগ্রাফ টেস্টও হয়েছে। তবে তদন্তভার নেওয়ার পর নতুন করে কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করেনি সিবিআই। কবে তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট খুলবে? কবে সুবিচার পাবেন সদ্য সন্তানহারা বাবা-মা? এমন একাধিক প্রশ্নে আপাতত মুখর মহানগরী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.