Advertisement
Advertisement
RG Kar Protest

‘ভুল হয় কেন এত?’ কাঞ্চনকে বিঁধলেন অনির্বাণ! ‘বন্ধু’ বিধায়ককে বিশেষ পরামর্শ পরমব্রতর

নিজের মন্তব্যের জন্য ইতিমধ্যেই ক্ষমা চেয়েছেন তারকা বিধায়ক।

RG Kar Protest: Anirban Chakrabarti, Parambrata Chattopadhyay on Kanchan Mullick bonus remarks
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:September 3, 2024 1:09 pm
  • Updated:September 3, 2024 1:56 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্মবিরতিতে থাকা সরকারি কর্মচারিদের ‘বেতন’, ‘বোনাস’ নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে কাঞ্চন মল্লিক। শুধু নেটিজেন নয় ইন্ডাস্ট্রির বন্ধু, সহ-অভিনেতারাও তাঁর সমালোচনা করেছেন। নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন তারকা বিধায়ক। ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, তিনি ‘লজ্জিত’। তাতেও নিস্তার নেই। এবার নাম না করে যেন কাঞ্চনকে বিঁধলেন টলিপাড়ার ‘একেনবাবু’ অনির্বাণ চক্রবর্তী। সুদীপ্তা চক্রবর্তীর মতো ‘বন্ধু’ কাঞ্চনকে ত্যাগ না করলেও বিশেষ পরামর্শ দিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।

Kanchan 1

Advertisement

“আমি যা বলেছি তার জন্য আমি অত্যন্ত লজ্জিত ও দুঃখিত। আমি কোনও সাফাই গাওয়ার জন্য আজকে এই ভিডিওটা করছি না। বিশ্বাস করুন অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে বলছি”, নিজের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এমনটাই বলেন কাঞ্চন মল্লিক। এদিকে ফেসবুক প্রোফাইলে (ভেরিফায়েড নয়) অনির্বাণ চক্রবর্তী লেখেন, “‘সোনা’, তোমার বারবার ভুল হয় কেন এত? ভুল করো আর ক্ষমা চাও…একগাদা ‘বিশ্বাস করুন’ বলতে হয় বাক্যের মাঝে! শুনতেও তো বাজে লাগে!”

Anirban-Chakrabarti-FB-post

[আরও পড়ুন: RG Kar কাণ্ডের প্রতিবাদ! দীনবন্ধু মিত্র পুরস্কার ফেরাতে চান নাট্যব্যক্তিত্ব চন্দন সেন  ]

কাঞ্চনের মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে নিজের দীর্ঘ বিবৃতির শুরুর দিকে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় লেখেন, “না বন্ধু! মাইনে-বোনাস আর অনুদান – পুরস্কার এক জিনিস নয়! প্রথমটা কাজের বিনিময় পাওয়া অধিকার, দ্বিতীয়টা নয়! কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বা যে কোনও রকমের ভয় ছাড়া কাজ করতে পারাটাও অধিকার। সেটা না থাকলে তার জন্য আন্দোলন করে কর্মবিরতিতে গেলে সেটার জন্যে তাদের রোজগার করার অধিকারটা ত্যাগ করতে হবে? একটি ঘৃণ্য ও বর্বরোচিত ঘটনার বিচার চেয়ে, সহকর্মীর মৃত্যুর বিচার চেয়ে আন্দোলন (RG Kar Protest) করাকে without pay (বেতন ছাড়া) ছুটি নেয়ার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলো না বন্ধু!”

Parambrata Chattopadhyay FB post

নিজের বক্তব্যের শেষেই আবার অভিনেতা-পরিচালক লেখেন, “…আসলে dissent বা মতবিরোধ (এবং তার থেকে তৈরি হওয়া স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন) অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই হ্যান্ডেল করতে জানে না। তারা যে গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর মধ্যে কাজ করে, এটা যে তারই অঙ্গ এবং সেটার হ্যান্ডলিংই যে পরিণত হওয়ার পরিচয়, সেটা আর হিসেবের মধ্যে থাকে না।
কাঞ্চনদা আমার খুব প্রিয় অভিনেতা এবং তাই থাকবেন। ওঁর আজকের কথার তীব্র বিরোধিতা করছি, কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে কাউকে কোনওরকম ‘ত্যাগ’ বা বয়কট করার পক্ষে আমি নই। তাহলে সেই সব সহকর্মীকে বয়কট করতে হয়, যাঁরা নানা দলের হয়ে নানা কথা নানা সময়ে বলেছেন বা নানান কথায় সায় দিয়েছেন। আবার বলছি, কাঞ্চনদার আজকের কথা ভয়ানক insensitive এবং অযৌক্তিক। উনি নিজে সেটা উপলব্ধি করলে সবথেকে ভালো।”

[আরও পড়ুন: কাঞ্চনের ‘স্লিপ অফ টাং’, স্বামীর হয়ে ক্ষমা চাইলেন শ্রীময়ী, কী লিখলেন?]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement