সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতার সরকারি কলেজের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। আর জি কর ইস্যু (RG Kar Incident) এখন আর বাংলার একার নয়! প্রতিবাদ, নিন্দায় সরব দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলোও। বাংলার আন্দোলন পৌঁছে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত তরুণী ডাক্তার ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় আমজনতা থেকে সেলেব, সকলের কপালেই ভাঁজ মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে। এবার সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে মার্কিন মুলুক থেকেই সুর চড়ালেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
টাইমস স্কোয়ার, নেদারল্যান্ড, পোল্যান্ড-সহ একাধিক জায়গায় আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়রা। এবার নারী নিরাপত্তার দাবিতে বাংলার আন্দোলনে শামিল হলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও। সাধারণত দেশের রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায় না তাঁকে। তবে অভিনেত্রী এবার কলকাতার মহিলা ডাক্তারের সঙ্গে হওয়া নারকীয় ঘটনায় গর্জে উঠলেন। বিবিসি নিউজ-এর তরফেও আর জি কর ইস্যু কভার করা হয়েছে। সেই প্রতিবেদনের ছবি শেয়ার করে মন খারাপের কথা জানালেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ‘দেশি গার্ল’-এর শেয়ার করা ছবিতে জ্বলজ্বল করছে কলকাতার রাত দখলের প্রতিবাদী মুখেরা।
অন্যদিকে, করিনা কাপুরের মন্তব্য, “নির্ভয়া কাণ্ডের ১২ বছর। তবুও সেই একই ঘটনা, সেই একই প্রতিবাদ। কিন্তু তাও আমরা বদলের অপেক্ষা করছি।” দীর্ঘ পোস্টে আর জি কর কাণ্ডে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে দোষীর কড়া শাস্তি দাবি করলেন হৃতিক রোশনও। অভিনেতা লিখেছেন, “আমাদের এমন একটি সমাজে গড়ে তুলতে হবে, যেখানে আমরা সবাই সমানভাবে নিরাপদ বোধ করি। কিন্তু তাতে কয়েক দশক লেগে যাবে। আমাদের ছেলে মেয়েদের সঠিক ভাবে মানুষ করলেই আশা করছি এই বদল আসবে। আগামী প্রজন্ম ভালো হবে অনেক। আমরা ঠিক পারব। কিন্তু এখন আপাতত এই ঘটনার দ্রুত বিচার চাই। আর সেই শাস্তি এতটাই কঠিন এবং দৃষ্টান্তমূলক হোক, যাতে অপরাধীরা আর এই ঘৃণ্য কাজ করার কথা না ভাবে। এটাই কাম্য। আমি নির্যাতিতার পরিবারের পাশে আছি, ওদের মেয়ের ন্যায় বিচার চাই আমি।”
Yes we need to evolve into a society where we ALL feel equally safe. But that is going to take decades. It’s going to hopefully happen with sensitizing and empowering our sons and daughters. The next generations will be better. We will get there. Eventually. But what in the…
— Hrithik Roshan (@iHrithik) August 15, 2024
এক মেয়ের মা টুইঙ্কল খান্না জানালেন মেয়ে নিতারাকে তিনি কী শেখান? পোস্টে তিনি লিখেছেন, “এই পৃথিবীতে, এই দেশে আমার পঞ্চাশ বছর। এবং আমাকে এখনও আমার মেয়েকে সেই একই জিনিস শেখাতে হচ্ছে, যা আমাকে ছোটবেলায় শেখানো হয়েছিল। পার্কে, স্কুলে, সমুদ্র সৈকত, কোথাও একা যাবেন না। কোনও পুরুষের সঙ্গে একা যাবেন না। এমনকী সে নিজের কাকা, তুতো ভাই বা বন্ধু হলেও। সকালে, সন্ধ্যা তো বটেই, এমনকী বিশেষ করে রাতে একা কোথাও যাবেন না। একা যাবেন না, কারণ তুমি আর কখনও ফিরে না-ও আসতে পারো।”
View this post on Instagram
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.