সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) পর থেকেই মনখারাপ কলকাতার। সেই ১৪ আগস্ট থেকে বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছে শহর। রাতদখলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পথে নেমেছিলেন শ্রুতি দাস। তিলোত্তমার ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রথম থেকেই সরব তিনি। পুজোর মরশুম কড়া নাড়লেও সুবিচারের দাবিতে এখনও রাত জাগছে কলকাতা। এই কঠিন সময়ে ‘পপ সম্রাজ্ঞী’ শাকিরার গানের আদলে গান বেঁধে সেরে ওঠার বার্তা দিলেন দর্শকদের প্রিয় ‘রাঙাবউ’ শ্রুতি (Shruti Das)।
শাকিরার গাওয়া বিখ্যাত গান ‘ওয়াকা ওয়াকা’র সুরেই শ্রুতি কলকাতার ক্ষততে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করলেন। গেয়ে উঠলেন ‘সেরে ওঠো কলকাতা’। দক্ষ অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি শ্রুতি যে বেশ সুগায়িকা, সেকথা বোধহয় অনেকেরই অজানা ছিল। শ্রুতির গানে উঠে এসেছে জনতার একতার কথা। হাতে হাত রেখে লড়াইয়ের কথা। তিলোত্তমার জন্য ন্যায়বিচারের কথা। অভিনেত্রীকে এর আগে পথে নেমে, স্লোগান দিয়ে প্রথম সারিতে থেকে আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছে। সোশাল মিডিয়াতেও নির্যাতিতার হয়ে কলম ধরেছিলেন শ্রুতি। একটা মেয়ের স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণার কথা উঠে এসেছিল তাঁর পোস্টে। তবে এবার তাঁর গায়িকা অবতারও যে অনুরাগীদের মন ভালো করে দিল, সেটা কমেন্টবক্সে চোখ রাখলেই বোঝা যায়।
View this post on Instagram
সম্প্রতি এই কঠিন সময়ে যখন টলিউড ইন্ডাস্ট্রিও ‘মিটু’ অভিযোগে উত্তাল, তখন পরিচালক স্বামী স্বর্ণেন্দুর হয়েও কলম ধরেছেন গর্বিত স্ত্রী। স্বামীর জন্মদিনে একাধিক ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেন অভিনেত্রী। এই পোস্টের ক্যাপশনেই তিনি লেখেন, “আজ সেই বিশ্বাসযোগ্য পরিচালকের জন্মদিন যার কাছে এই ক্ষয়িষ্ণু সমাজে মহিলা আর্টিস্ট আর টেকনিশিয়ানরা নিরাপদ এবং আমি গর্বিত হই এটা শুনে যে – ‘স্বর্ণদা স্টুডিওয় না এলে, ফ্লোরে না থাকলে, শট না নিলে ভালো লাগে না।’ এই ‘মি টু’র যুগে আমি জোর গলায় বলতে পারি, আমি এই ভালোমানুষটির সহধর্মিণী, যার কাছে মহিলারা নিরাপদ।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.