সুপর্ণা মজুমদার: ক্ষমতার স্বপ্ন এমন স্বপ্ন যা রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারে। আবার এমন চক্রব্যূহের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ফেলতে পারে যেখানে প্রবেশের পথ তো জানা থাকে, তবে বাইরে বেরনোর উপায় জানা থাকে না। প্রতি মুহূর্তে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চলতে থাকে। City of Dreams সিরিজের পূর্ণিমা গায়কোয়াড়ের (প্রিয়া বাপত) ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। সিরিজের প্রথম মরশুমে ভাই আশিসকে (সিদ্ধার্থ চান্দেকর) বলি দিয়ে অন্তর্বতী মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিল পূর্ণিমা। সেই ঘটনার পর থেকেই নতুন মরশুমের কাহিনি শুরু হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার অধিকার তো পূর্ণিমা পেয়েছিল। তবে তা ছিল সাময়িক। এবার পাকাপাকি ক্ষমতা দখলের লড়াই শুরু হয় তাঁর। সঙ্গী ওয়াসিম খান (এজাজ খান), জগদীশ গৌরব (শচীন পিলগাঁওকর), পুরুষোত্তম (সন্দীপ কুলকর্ণি)। ঠিক যেন কুরুক্ষেত্রর যুদ্ধ। রক্তের সম্পর্কের বিরুদ্ধেই লড়াই পূর্ণিমার। ছেলে আশিসের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে মরিয়া অময় দেও গায়কোয়াড় (অতুল কুলকর্ণি)। নিজের মেয়েকে খুন করার প্রতিজ্ঞা করেছে। বাবার মনোবাসনা ভালভাবেই জানে পূর্ণিমা। তাই প্রতিপদে সাবধান থাকে। কিন্তু তাতে ক্ষতি আটকাতে পারে কি? প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে ১০ এপিসোডের সিরিজ Disney + Hotstar প্ল্যাটফর্মে দেখে নিতে পারেন।
নতুন মরশুমে দাবার মতো পুরো খেলা সাজিয়েছেন পরিচালক নাগেশ কুকুনুর ও রোহিত বানাউলিকর। তাতে নাটকীয়তা ভালভাবেই বজায় রেখেছেন। ‘ইকবাল’, ‘ডোর’, ‘রকফোর্ড’-এর সিনেমা তৈরি করেছেন নাগেশ। মানবিক সম্পর্কের উপর বরাবর গুরুত্ব দেন তিনি। এবার থ্রিলার সিরিজ তৈরি করলেও সেই ধারা বজায় রেখেছেন। পূর্ণিমার গল্পের সঙ্গেই আবার তানিয়া ও তাঁর প্রেমিকের কাহিনি দেখানো হয়েছে। আবার সংবাদমাধ্যমকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। গল্প ভালভাবেই সাজানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তবে বড্ড বেশি সময় ধরে তা করা হয়েছে। একটি মেদ কম হলে আরও ভাল লাগত। প্রিয়া বাপত (Priya Bapat), অতুল কুলকর্ণি, এজাজ খান, শচীন পিলগাঁওকরের মতো অভিনেতারাই এ সিরিজের মূল সম্পদ। প্রত্যেকেই প্রশংসার যোগ্য। তবে শেষে দৃশ্যটির যেন সাজানো নাটকীয়তায় পরিণত হয়েছে। নিঃশব্দতার থেকে সহজ বেদনা প্রকাশের মাধ্যম বোধহয় আর নেই। তাতে অন্তরের চিৎকার বেশি করে শোনা যায়। তাতেই স্বপ্ন ভাঙার বেদনা বোঝা যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.