Advertisement
Advertisement

Breaking News

মুম্বইয়ের গ্ল্যামার দুনিয়া অতীত, লকডাউনে অর্ধাহারে দিন কাটছে রানাঘাটের রানু মণ্ডলের

রোজ ভাত-ডালও জুটছে না রানুর।

Ranu Mondal of Ranaghat starving as she has no income
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:June 10, 2020 8:54 pm
  • Updated:June 10, 2020 8:54 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রানু মণ্ডলকে মনে আছে? মাত্র মাস ছয়েক আগের কথা। রাণাঘাটের ভবঘুরে রানু মণ্ডল সোশ্যাল মিডিয়ার সেনসেশন ছিলেন। হিমেশ রেশমিয়া তাঁর কণ্ঠে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে দিয়ে একটি ছবিতে গান গাইয়েছিলেন। সেই রানু মণ্ডল ফিরে গিয়েছেন তাঁর পুরনো জীবনে। সময় তাঁকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে অতীতে। ঝাঁ-চকচকে গ্ল্যামার দুনিয়ায়র হাতছানি আজ তাঁর কাছে স্বপ্নের মতো। আগে যেভাবে একবেলা খেয়ে দিন কাটত, এখনও তাই। বদলে গিয়েছে সব।

রানাাঘ্ট স্টেশন থেকে রানু মণ্ডলের উত্থান। ঠিক যেন এক রূপকথার গল্পের মতোই তার জীবনের কথকথা। স্টেশনে একদিন নিজের মনেই গান গাইছিলেন, ‘এক প্যায়ার কা নাগমা হ্যায়।’ নিত্যযাত্রী অতীন্দ্র চক্রবর্তী মোবাইলে রেকর্ড করেন সেই গান। ভাল লাগা থেকেই তা পোস্ট করেন ফেসবুকে। সেই শুরু। নেটিজেনরা রানুর কণ্ঠ শুনে আপ্লুত হয়ে যান। কোথাও যেন লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে তাঁর কণ্ঠের হুবহু মিল। ব্যাস। তারপর থেকেই নেটিজেনদের দৌলতেই ‘লতাকণ্ঠী’ খেতাব জুটে যায় রানুর। তাঁর উত্তরণের গল্প এখানেই শেষ নয়। বাংলার সীমা ছাড়িয়ে রানু পৌঁছে যান স্বপ্ননগরী মুম্বইয়ে। এক রিয়্যালিটি শোয়ের আমন্ত্রণে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই ডাক পান বলিউডে গান গাওয়ার জন্য। খোদ হিমেশ রেশমিয়া তাঁর গানে মুগ্ধ। তারপর থেকে রুপোলি দুনিয়া হয়ে ওঠে তাঁর সংসার। রানাঘাটের এক সময়ের ভবঘুরে রানু গলা মেলান হিমেশ রেশমিয়া, উদিত নারায়ণের মতো শিল্পীর সঙ্গে। হিমেশের সঙ্গে রেকর্ড করেন ‘তেরি মেরি কাহানি’।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: দেশে বাড়তে থাকা শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব রাষ্ট্রসংঘের শুভেচ্ছাদূত প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ]

কিন্তু ‘সময় বহিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়’। এক সময়ের সেনসেশন রানু হারিয়ে যান। মাস দুয়েক আগে শোনা যায়, কোনও এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি নাকি কেরল গিয়েছিলেন। এরপর আবার খবরে আসেন তিনি। এপ্রিল মাসে, লকডাউন চলাকালীন এলাকার দুস্থদের রেশন বিলি করতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু সেই শেষ। তারপর থেকে যেন উধাও হয়ে গিয়েছেন রানু মণ্ডল। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, লকডাউনে তাঁর নুন আনতে পান্তে ফুরোয় দশা। দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জুটছে না। এক প্রকার অর্ধাহারে দিন কাটছে তাঁর। কচিৎ-কদাচিৎ জুটছে অন্ন। মাঝেমধ্যে তো মুড়ি খেয়ে দিন কাটছে। একটি সংবাদমাধ্যমকে রাণু মণ্ডল জানিয়েছেন, কেরল থেকে ফিরে টানা পাঁচদিন তাঁকে না খেয়ে কাটাতে হয়েছে। এখন পরিস্থিতি আরও খারাপ। এলাকার লোক সদয় হলে চাল-ডাল জোটে। নাহলে পেটে কিল মেরে দিন গুজরান করেন তিনি। দুঃখ করে বলছিলেন, এখন আর কেউ তাঁর খোঁজ নেয় না। সেই আগের দিনগুলো যেন ফিরে এসেছে। কিন্তু তাই বলে নিজের নেশাকে হারিয়ে ফেলেননি তিনি। আজও মাঝেমধ্যেই নিজের মনে গেয়ে ওঠেন, ‘জিন্দেগি অর কুছ ভি নেহি, তেরি মেরি কাহানি হ্যায়।’

[ আরও পড়ুন: অবশেষে কাটল জটিলতা, আগামিকাল থেকে শুটিং শুরু টলিপাড়ায় ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement