সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর নাম করে টাকা হাতানোর অভিযোগে পুলিশের জালে এক যুবক। বর্ধমানের মেমারি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর তারপরই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন খোদ পরিচালক। রাজ চক্রবর্তী নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইলে এ নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুরো টিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
রাজ চক্রবর্তী ফেসবুকে লিখেছেন, “চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুরো টিমকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এই উদ্যোগের জন্যে। এমন অনেক আরও ঠগ মানুষ আছে যারা এই সমস্ত কাজ করে থাকে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ দেবে বলে। এদেরকে ধরতে হবে, এরা মানুষকে ঠকায়। এবং সকলকে আমি অনুরোধ করব যাতে তারা এই ট্র্যাপ গুলোতে না পড়ে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাউকে টাকা বা পয়সা নিয়ে কাজ দেওয়া হয় না। পারফরম্যান্সের বিচারে কাজ দেওয়া হয়। এটা স্ট্রাগলের অংশ। প্লিজ কেউ এই সমস্ত ট্র্যাপে পা দেবেন না।”
কিছুদিন আগে বর্ধমানের মেমারি থেকে সুভাষ দাস নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযোগ, সিনেমায় সুযোগ করে দেওয়ার নাম করে একাধিক মহিলার থেকে টাকা হাতিয়েছে সে। পুলিশ সূত্রে জানা যায় প্রতারিত অর্পিতা দাস মধ্যমগ্রাম থানার দোলতলা এলাকার বাসিন্দা। অর্পিতা দেবীর এক কিশোরী কন্যাও আছে। কয়েক মাস আগে অর্পিতা দেবীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় সুভাষ দাস নামে এক যুবকের সঙ্গে। প্রতারক যুবক নিজেকে ‘চিত্র প্রযোজক রাজ চক্রবর্তী’ বলে পরিচয় দেয়। কিছুদিন ফেসবুকে চ্যাট করার পর প্রতারক ওই গৃহবধূর কিশোরী কন্যাকে সিনেমা অভিনয় করার সুযোগ করে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগ করে দেওয়ার পরিবর্তে ৫৫ হাজার টাকা দিতে হবে। অর্পিতা দেবী প্রতারক যুবকের কথা সহজেই বিশ্বাস করেন। হাতের কাছে এমন সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি ওই গৃহবধূ। তিনি কোথায়, কখন, কীভাবে টাকাটা দিতে হবে তা জানতে চান যুবকের কাছে। যুবক চুঁচুড়া পুলিশ লাইনের উলটোদিকে কোর্টের কাছে এক পুলিশে কর্মরত এক ব্যক্তির হাতে টাকা দিতে বলে। এরপর পুলিশের নাম ভাঙিয়ে সুভাষ দাস নিজেই পুলিশ সেজে গত ৫ মার্চ অর্পিতা দেবীর কাছ থেকে ৫৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়।
ঘটনার প্রেক্ষিতে গৃহবধূ চুঁচুড়া থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ তদন্তে নেমে সুভাষ দাস নামে ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে। এই বিষয়ে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার ড: হুমায়ুন কবীর জানান ধৃত ওই যুবকের কাছ থেকে নগদ ২০ হাজার ৫০০ টাকা-সহ দু’টি স্মার্ট ফোন ও অনেকগুলি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এই সাফল্যে অভিভূত পরিচালক রাজ চক্রবর্তী খোদ। রবিবার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে সেই কারণে পুলিশকে ধন্যবাদ জানান পরিচালক
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.