Advertisement
Advertisement
রাধিকা আপ্টে

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ছবি, ব্যতিক্রমী ব্রিটিশ গোয়েন্দার চরিত্রে রাধিকা

সম্প্রতি ছবির প্রিমিয়ার হয়েছে এডিনবরা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে।

Radhika Apte to play British spy of Second World War
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:August 1, 2019 8:02 pm
  • Updated:August 1, 2019 8:02 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দ্য ওয়েডিং গেস্ট’-এর পর ফের হলিউড ছবিতে রাধিকা আপ্টে। ছবির নাম ‘লিবার্টি: আ কল টু স্পাই’। গত মাসে যে ছবির প্রিমিয়ার হয়ে গিয়েছে এডিনবরা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মঞ্চে। পরিচালকের আসনে এমি পুরস্কারপ্রাপ্ত খ্যাতনামা পরিচালক লিডিয়া ডিন পিলচার। আর সেই ছবির দৌলতেই পশ্চিমী আঙিনায় নজর কেড়েছেন বলিউড অভিনেত্রী রাধিকা আপ্টে।

[আরও পড়ুন: বছর শেষে কাশ্মীরি প্রেমিকের সঙ্গে সাতে পাকে বাঁধা পড়ছেন সুস্মিতা]

Advertisement

বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে রাধিকা আপ্টের নাম নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য। তিনি বরাবরই সাহসী। সিনেমার চরিত্র নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালবাসেন। ডি-গ্ল্যাম চরিত্র থেকে আদ্যোপান্ত নায়িকা, সবেতেই সাবলীল রাধিকা। বলিউডি দর্শকদের তাঁর অভিনয়ে মুগ্ধ করে এবার আন্তর্জাতিক ময়দানে রীতিমতো চেনা মুখ হয়ে উঠছেন তিনি। গতবছরই ‘দ্য ওয়েডিং গেস্ট’-এর সুবাদে হলিউডে অভিনয় কেরিয়ার শুরু করেছিলেন রাধিকা আপ্টে। এখনও মু্ক্তি পায়নি তাঁর প্রথম হলিউড ছবি। তবে তার আগেই সেই ছবি নিয়ে সরগরম নেটদুনিয়া।

Advertisement

ইন্টারনেটে ফাঁস হয়ে গিয়েছিল ‘দ্য ওয়েডিং গেস্ট’-এ তাঁর সঙ্গে দেব প্যাটেলের বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের মুহূর্ত। নিন্দুকেরা রাধিকাকে পশ্চিমী সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত বলে তকমা সেঁটে দিয়েছিলেন। তবে সেসব ঝেড়ে ফেলে অভিনেত্রী আপাতত বেজায় ব্যস্ত তাঁর পরবর্তী ছবি নিয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে রাধিকা অভিনীত ‘লিবার্টি: আ কল টু স্পাই’। যেই ছবিতে ব্রিটিশ মহিলা গোয়ন্দা নূর ইনায়ত খানের ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে।

[আরও পড়ুন: ১১ বছরের সম্পর্কে ছেদ, স্বামীর উদ্দেশে আবেগঘন পোস্ট দিয়া মির্জার]

পরবর্তী ছবিতে তাঁর চরিত্র প্রসঙ্গে রাধিকা আপ্টে বলেন, “নূরের জন্ম ব্রিটেনে হলেও ওঁর মা আমেরিকান এবং বাবা ছিলেন মুসলিম। যিনি কি না ফ্রান্সে বড় হয়েও সুফিবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নূর। তাঁকেই পরবর্তীতে ফ্রান্সে পাঠানো হয়েছিল চরবৃত্তির জন্য। শত্রুপক্ষের হাতে ধরা পড়লেও নিজের দেশ সম্পর্কে একটা কথাও মুখ থেকে বের করেননি নূর। মৃত্যুর আগে শুধু ‘লিবার্টি’ শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন। যুদ্ধ প্রসঙ্গে কথা বললে সবসময়ে পুরুষদের অবদান নিয়েই আলোচনা হয়। কিন্তু সমান্তরালভাবে মহিলারাও যে সাহসের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন, সেই ইতিহাস সবসময়েই অন্তরালে রয়ে যায়। কিংবা বলা ভাল ব্রাত্য থেকে যায়। আর লিডিয়া ঠিক এসব মহিলাদের কথা চিন্তা করেই ব্রিটিশ মহিলা গোয়েন্দা নূরের কাহিনি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তাঁর ছবির মধ্য দিয়ে।”  ছবির সাফল্য নিয়ে আশাবাদী রাধিকা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ