Advertisement
Advertisement

Breaking News

Rachna Banerjee

মানুষ মারা যাচ্ছেন, অনেক তিলোত্তমা তৈরি হচ্ছে: রচনা

আন্দোলকারী চিকিৎসকদের আর কী বললেন 'দিদি নম্বর ১'?

Rachna Banerjee stands with protesting doctors in RG Kar issue
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:September 15, 2024 11:21 am
  • Updated:September 15, 2024 11:21 am  

সুমন করাতি, হুগলি: কোনও আলোচনা হল না। শনিবার একের পর এক ঘটনায় নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হল। ধরনা মঞ্চে গিয়ে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাজে ফেরার অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা আলোচনার জন্য তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে পৌঁছান। কিন্তু আলোচনা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ সত্ত্বেও আন্দোলনকারীরা প্রায় আড়াই ঘণ্টা তাঁর বাড়ির সামনে দাঁডিয়ে বৃষ্টিতে ভেজেন। তার পর ফিরে যান নিজেদের অবস্থানে। এবার তাঁদের কাজে ফেরার অনুরোধ জানালেন হুগলির তারকা সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Rachna

Advertisement

চুঁচুড়ায় তাঁত বস্ত্র মেলার উদ্বোধনে গিয়েছিলেন বাংলা টেলিভিশনের ‘দিদি নম্বর ১’। সেখানেই জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি কোনওদিনও বলিনি যে তাঁরা ভুল কাজ করছেন, আমরা সবসময় তাঁদের সাথে চলছি, তাঁদের পাশে রয়েছি। কারণ তাঁরা বিচার চাইছেন এবং আমরা সবাই বিচার চাইছি। আমরা চাই দোষী শাস্তি পাক, আমরা চাই দোষীরা শাস্তি পাক। যেই হোক না কে সে আমাদের সামনে আসুক এবং তাকে সাজা দেওয়া হোক। তার জন্য এই আন্দোলন, তার জন্য এই প্রতিবাদ। সেটাকে আমরা ১০০% সমর্থন করি। জুনিয়র ডাক্তাদের পাশে শুধু আমি নই সারা পৃথিবীর মানুষ আছে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আছেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের পাশে আছেন।”

এর পরই আবার তারকা সাংসদ বলেন, “আমাদের একটাই বক্তব্য ছিল যে আমরা তিলোত্তমার জন্য আন্দোলন করছি, তিলোত্তমার জন্য প্রতিবাদ করছি। কিন্তু আজকে তাঁদের এই কর্মবিরতির জন্য অনেক মানুষ দুঃখ পাচ্ছেন, কষ্ট পাচ্ছেন। অনেক মানুষ মারা যাচ্ছেন। অনেক তিলোত্তমা তৈরি হচ্ছে, অনেক অভয়া তৈরি হচ্ছে, অনেক বাচ্চার বাবা-মা মারা যাচ্ছেন। অনেক পরিবারের মানুষ চলে যাচ্ছে। তাঁদের কথা একটুখানি ভেবে দেখলে খুব ভালো হয়। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যহত হচ্ছে।” করজোড়ে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার অনুরোধও করেন তিনি।

 
 
 
 
 
View this post on Instagram
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

A post shared by Sangbad Pratidin (@sangbadpratidin)

এদিন বাংলার দুর্গোৎসব নিয়েও মন্তব্য করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “দিদি যা বলেন তিনি চিন্তা ভাবনা করে কথা বলেন। তার কথাকে আমরা স্মরণ করি। পুজো নিশ্চয়ই হওয়া দরকার। পুজোর সাথে শুধু আনন্দ নয় প্রচুর মানুষের ব্যথা, বেদনা, শ্রম, সবকিছু জড়িয়ে রয়েছে। যাঁরা মণ্ডপ নির্মাণ করেন, তাঁরা কত শ্রম দিয়ে মণ্ডপ নির্মাণ করেন। অনেক মানুষের রুজি-রোজগার, সংসার চলে পুজোর জন্য। সেটাকে ভুলে গেলে হবে না।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement